রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মহিলা কলেজে একাদশে ভর্তিতে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেখা পর্যন্ত প্রায় দেড়শতাধিক ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কলেজে অবস্থান করছিলেন। ৬৭ নম্বরে মেধা তালিকায় নাম ছিলো কামরুন নাহারের। তিনি অভিযোগ করেন, তাকে ভর্তি না করে অন্য কাউকে ভর্তি করিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাকে পরে ভর্তি করানো হবে বলে তিন দিন থেকে কলেজে ঘুরে ভর্তি করানো হয়নি।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সোমবার থেকে প্রথম অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছুকদের ভর্তির জন্য ডাকা হয়। প্রথম দিনে অপেক্ষমান তালিকার ৮২১ পর্যন্ত ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার ৮২২ অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়।
কিন্তু এর সিরিয়াল ভঙ্গ করে গোপনে ভর্তি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাকরা। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও প্রকৃত অপেক্ষমানদের ভর্তি করানো হয়নি।
ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী আসমা আফিয়া অভিযোগ করেন, বিজ্ঞান বিভাগে তার নাম ৮২২ অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছে। জিপিএ ৫ পেয়েও তাকে ভর্তি না করে এক হাজার ১০০ সিরিয়ালের পরে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়েছে। কামাল হোসেন নামের এক অভিভাক অভিযোগ করেন তার মেয়ে বিজ্ঞানে জিপিএ-৫ পেয়ে কলেজে ৯৩৬ অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে। তাকে ভর্তি না করে তার পরের সিরিয়ালের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরকম প্রায় দেড় শতাধিক ভর্তিচ্ছুক শিক্ষাথী ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ করে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এদিকে রাজশাহী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সায়িদা নিলুফার ফেরদৌস এর সাথে মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।