রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় কারণে ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
জানা গেছে সহকারী শিক্ষক শেখ মনিরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে স্ত্রী পুত্র অসুস্থ জনিত কারণে এবং আত্মীয় স্বজনকে দেখার উদ্দেশ্যে ভারত গমন করেন।
তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পাদনসহ জুনিয়র সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা মোহনপুর-এ ১০৮ “কেন্দ্র সচিবের ” দায়িত্ব পালনের জন্য সহকারী শিক্ষক মোহাঃ সাইফুল ইসলামকে পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত দায়িত্বভার অর্পন করেন।
পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী বিষয়টি অবগত হলে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশক্রমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তরুন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত পত্রের স্মারক নম্বর- রাশিবো/ জেএসসি/পনি-২০১৪/১৫-৩৫৭(৮), সূত্র মসউবি/১০৩/১৬। ৮ ই নভেম্বর জেএসসি পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা ২(৩) উপ-ধারার পরিপন্থি এবং বিধিসম্মত না হওয়ায় সহকারী শিক্ষক মোহাঃ সাইফুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী ৯ ই নভেম্বর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহনপুর রাজশাহীকে দায়িত্ব প্রদান করেন এবং পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে বলে পত্রে নির্দেশ দেন।
এ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.কামাল আবদুল নাসের চৌধূরী স্বাক্ষরিত পরিপত্র যার স্মারক নম্বর শিম/শাঃ১১/৩-৯/২০১১/২৫৬ পরিপত্র মোতাবেক কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ অবসর/শূণ্য/বদলী/অসুস্থ জনিত কারনে শূন্য হলে উক্ত বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব অর্পণ নির্দেশনা থাকলেও।
সেই মোতাবেক উপরোক্ত পদ শূন্য থাকলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে যাতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ব্যাবস্থা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নীত না হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ মনিরুল ইসলাম পরিপত্রের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দাপটে প্রভাব খাটিয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে বাদ দিয়ে তার পছন্দমত কনিষ্ঠ শিক্ষককে বিদ্যালয় পরিচালনারসহ অন্যানা দায়িত্ব অর্পন করেন।
যার ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়াসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পুরণে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সমস্যা নিরসে জন্য সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকসহ এবং এলাকাসুধীজন বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য অত্র শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক দেওয়ার অনুরোধ জানান তানাহলে এ অবস্থা চলতে থাকলে বিদ্যালয়টি তার অতীত ফলাফলসহ ঐতিহ্য ও গৌরব হারাবে বলে মনে করেন একাধিক শিক্ষানুরাগী সূধী ও গুনীজন।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তরুন কুমার সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বেলাকে জানান, কেন্দ্র সচিব হতে হলে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হতে হবে কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ মনিরুল ইসলাম তার ইচ্ছামতো বিধি লঙ্ঘন করে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দিয়েছিল সে জন্য সহকারী শিক্ষক মোহাঃ সাইফুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
by