ঢাকার বাইরে ঈদ উদযাপন করার কোনো অভিজ্ঞতা আমার নেই। যদিও আব্বু-আম্মু দুজনের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা। ওখানে আমাদের যাওয়া হয় না। আব্বু প্রবাসী, আঠারো বছর হলো সৌদি আরবে থাকেন। দুই বছর পর পর দেশে আসেন।
নানু বাড়ির সবাই ঢাকায় থাকে। আমরা তিন বোন আর মা একসঙ্গে নানু বাড়িতে থাকি; রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাসা। ঈদের দিন খিলগাঁওয়ের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট মেলা বসে। ছোটবেলায় যেতাম। এখনো যে খুব একটা বড় হয়েছি তা নয়! এইচএসসি পরীক্ষা দেব। সুতরাং কিইবা বলা যায়- না বড় না ছোট। দারুণ একটা সময়ে আছি। তবে এখন আর যাই না।
ঈদের দিন মায়ের সাথে থাকি, ঘুরে ঘুরে খাওয়া দাওয়া করি। ছোটবেলায় নাচ শিখতাম, এই জন্য শাড়ি পরতাম। এক কথায় সবসময় বড়দের মতো হতে চাইতাম। কিন্তু ফ্রক পরতে চাইতাম না। যে কারণে ঈদে অনেক সালোয়ার কামিজ অথবা শাড়ি গিফট পেতাম। আমি ছোটবেলা থেকেই খুব সেনসিটিভ। অনেকেই গিফট করত। আমি চাইতাম যে, আমাকে যে পোশাকটা দেবে সেটা শুধু সেই দেখবে। যেমন ধরা যাক- পোশাকটা আম্মু দিলো তাহলে আম্মুই দেখতে পারবে। আমার বড় বোনকেও আমি দেখতে দিতে রাজি ছিলাম না। আমার ছোটবোন খুব শান্ত। ও কখনো এগুলো খুঁজে বেড়াত না। কিন্তু আমার বড় বোন খুঁজে বের করত সেগুলো। সে দেখে ফেললে আমি কাঁদতাম।
এই সময়ের কথা যদি বলি, তাহলে বলতে হবে ক্যাজুয়াল ড্রেস পরতে পছন্দ করি। শাড়ি পরা হয় অকেশনালি। শাড়ি পরতে ভালো লাগে। শাড়ি পরলেই স্পেশাল একটা ফিলিংস হয়। আর শাড়ির সঙ্গে সাজ অনুষঙ্গ-টিপ, টিকলি, চুড়ি এগুলো না থাকলে চলেই না। চুপিচুপি একটা কথা বলে রাখি- রবীন্দ্রনাথকে পেলে আমি জমিয়ে প্রেম করতাম।
আমার মনে হয়, শাড়ির সাথে রবীন্দ্রনাথের দারুণ একটা মেলবন্ধন আছে। তার গল্পের নায়িকাদের মতো সাজতে ইচ্ছে করে। কোনো এক ফাঁকে আমিও তার নায়িকা হয়ে যাই।
রোজার পুরোটা সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ঈদ কিছুটা অবসর পাব। শুটিং মানে মেকআপ-নতুন নতুন জামা কাপড়ের ছড়াছড়ি। শুটিং উপলক্ষে অনেক জামাকাপড় কেনা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে আর নতুন কোনো পোশাক কেনা হয়নি। তবে ঈদের দিন মেজেন্টা রঙের সালোয়ার কামিজ পরব। বাইরে বের হলে চোখে মাশকারা দেব। মেকআপ দিতেও পারি, নাও পারি।