শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছরই যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়ে যাবে। আগামী অর্থবছরেও যোগ্য প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে। নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি নিয়ে শিক্ষকরা কোনো অসন্তোষ কিংবা হতাশা প্রকাশ করতে ‘না’ করেছেন তিনি।
২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে দেয়া অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষাখাতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে কোনো কিছু না বলায় বেসরকারি শিক্ষকরা অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাবাজেট নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
ডা. দীপুমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সবসময় প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। ১০ বছর পর চলতি অর্থবছরে দুই ৭৩০টি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যারা যোগ্য তাদের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এমপিও পেয়ে গেছে।
বাজেট বক্তৃতায় এমপিওভুক্তির বিষয়টি উল্লেখ না থাকার ফলে যারা আশঙ্খা প্রকাশ করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেছেন, এমপিওভুক্তি নিয়ে এখন কারো আশঙ্খা প্রকাশ করার দরকার কিংবা প্রয়োজনই নেই। কারণ, এমপিওভুক্তি এখন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য যারা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন প্রতিবছরই আমরা তাদেরকে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা করব।
বাজেট বক্তৃতায় এমপিওভুক্তির বিষয়টি না থাকার ব্যাখা দিয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে এবার অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এজন্য অনেক বিষয় বাজেট বক্তৃতায় স্থান পায়নি। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিকও থাকত এবং এমপিওভুক্তির বিষয়টি উল্লেখ না হত তাতেও কোনো সমস্যা হত না। কারণ এমপিওভুক্তি এখন থেকে চলমান থাকবে।
বাজেটে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তাতে আপনি সন্তুষ্ট কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বাজেট দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে অনেকে অনেক রকম কথা বলবেন। কেউ বলবেন ভালো হয়েছে। কেউ বলবেন ভালো হয়নি। আমি কিন্তু সেদিকে যাব না। সেই বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তাও করব না। আমাদের চিন্তা অন্য জায়গায়। সেই চিন্তার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে যেন আমরা সচেতন থাকতে পারি। সক্রিয় থাকতে পারি। বাজেটে যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটি সর্বোত্তম ব্যবহার যেন করতে পারি। টাকা খরচের বেলায় যেন স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারি।
তিনি বলেন, বাজেটের বরাদ্দ নিয়ে আমরা কথা বলছি এবং ভবিষ্যতেও বলব। তারমতে, শিক্ষার চেয়েও অন্যখাতে বরাদ্দ বেশি হলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ সবইতো কোনো না কোনোভাবে শিক্ষাখাতে এসে বর্তায়। কিভাবে বর্তায়-জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে, বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে- সব কিছু কি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়? এসব খাতের উন্নয়নে কি শিক্ষার ভূমিকা নেই? কাজেই শিক্ষায় বাজেট নিয়ে আমার অখুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার একটাই চিন্তা বাজেটে আমরা যা পেয়েছি তার সর্বোত্তম ব্যবহার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
সূত্র: ভোরের কাগজ।