যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাসহ ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শাহরীন রহমান প্রলয় (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহরীন বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন- পিইএসএস বিভাগের স্নাতক ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ইসাদ হোসেন (২), একই বিভাগের স্নাতক ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাহীনুর ইসলাম (৩), স্নাতক ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম (৪), ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বেলাল হোসেন (৫), পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রায়হান রহমান রাব্বি (৬), পিইএসএস বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বিভাগের বিপুল হাসান (৭) ও একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আশিকুজ্জামান লিমনকে ৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহরীন যশোর কোতোয়ালি থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর প্রেক্ষিতে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি আসামিরা দ্রুতই ধরা পড়বে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা যাচাই-বাছাই করে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
এর আগে, গত সোমবার (০৩ জুন) কথা-কাটাকাটির জেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরীন রহমান। এই অভিযোগ দেওয়ায় তাকে আবাসিক হলে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানার কক্ষে (৩০৬ নং) রাতভর নির্যাতনের দাবি করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী।
তিনি অভিযোগ করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে বেধড়ক মারধর করে হল ছাড়ার হুমকি দেন, আর অভিযোগ না তুলে নিলে গুলি করে মেরে ফেলবেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।