ঢাকা: ইংরেজি ‘ম্যাস’ শব্দটি দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বোঝানো এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় শব্দটি মন্ত্রণালয়ের নাম থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নাম পরিবর্তনের লক্ষ্যে সুন্দর ও সাবলীল নাম আহ্বান করবে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইংরেজি নাম ‘Ministry of Primary and Mass Education’। ইংরেজি নামের ‘ম্যাস’ শব্দটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এএফএম মনজুর কাদির।
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘ম্যাস’ শব্দটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়। ইংরেজি ‘ম্যাস’ শব্দটি বস্তু, পিণ্ড, ভর, পরিমাণ, দল, স্তূপ, দলা, বস্তুসমূহ, বহু পরিমাণ ছাড়াও বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। মানুষের ক্ষেত্রে জনসাধারণ বা গরিব দেশের জনগণ, খ্রিস্টের নৈশভোজের পর্ব উদযাপনসহ আরও নানা অর্থে ব্যবহার হয়ে আসছে শব্দটি। কোথাও কোথাও উপসর্গের মতো ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়।
সহজ-সরল অর্থে বিদেশি এবং দেশের মানুষের মধ্যে এসব বিভ্রান্তি দূর করতে নাম প্রস্তাব করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব ড. মনজুর কাদির।
তিনি বলেন, ‘ম্যাস’ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অনেকেই সহজ-সরলভাবে বিষয়টি নিতে চান না। সভায় আলোচনা করে নাম পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিশন ও মিশন হলো মানসম্মত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা। আর অভিলক্ষ্য প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ ও গুণগতমান উন্নয়নের মাধ্যমে সবার জন্য প্রাথমিক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের শিক্ষার জন্য বর্তমানে দুটি মন্ত্রণালয় এবং দু’জন মন্ত্রী রয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে রয়েছেন দু’জন সচিব। মাধ্যমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা দেখভাল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে পরিচালনা করা হয়। সরকারের অর্থের পাশাপাশি বিদেশি বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠীর