করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ফেসবুকের মেসেঞ্জারের ব্যবহার বেড়েছে। মেসেঞ্জারে বার্তা আদান–প্রদানের সুবিধাটিকে আরও ব্যক্তিগত রাখার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ফিচার যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। মেসেঞ্জারে যুক্ত হচ্ছে ফেস আইডি, টাচ আইডি বা পাসকোড ব্যবস্থা। এতে ব্যবহারকারী মেসেঞ্জার ‘লক’ করে রাখতে পারবেন, যাতে অন্য কেউ ব্যক্তিগত বার্তা দেখতে না পারেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট এক প্রতিবেদনে বলেছে, ফেসবুক বর্তমানে মেসেঞ্জারের নিরাপত্তা ফিচারগুলো নিয়ে পরীক্ষা করছে। এসব ফিচার চালু হলে ব্যবহারকারীকে তাঁর মেসেঞ্জারের ইনবক্সে ঢুকতে হলে পাসওয়ার্ড বা আইডি দিয়ে ঢুকতে হবে। ফোন আনলক করা থাকলেও মেসেঞ্জারে আইডি দিয়ে ঢুকতে হবে। অ্যাপ ছেড়ে যাওয়ার কতক্ষণ পর তা লক হবে, সে সময়ও ঠিক করে দেওয়ার সুবিধা থাকবে।
এনগ্যাজেটকে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ব্যবহারকারীদের কাছে তাঁদের আরও বেশি পছন্দের ও নিয়ন্ত্রণের সুবিধা তুলে দিতে চাই, যাতে তাঁরা ব্যক্তিগত বার্তা সুরক্ষিত রাখতে পারেন। সম্প্রতি আমরা এ রকম ফিচার পরীক্ষা শুরু করেছি যাতে ডিভাইস সেটিংস ব্যবহার করে মেসেঞ্জার অ্যাপ খুলতে হবে। কেউ যাতে হুট করে বার্তা পড়ে ফেলতে না পারে, সে জন্যই প্রাইভেসির বাড়তি স্তর যুক্ত করা হচ্ছে।’
গত মাসেই ফেসবুক তাদের ভিডিও কনফারেন্সিং টুল ‘মেসেঞ্জার রুমস’ চালু করেছে। এতে ৫০ জন একসঙ্গে যুক্ত হতে পারেন এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এতে যুক্ত হওয়া যায়। মেসেঞ্জার রুমস সৃষ্টির ফিচারটি আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ ও ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেমে চালু হয়েছে।