ডেস্ক,১৪ জুলাই:
বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা মিন্নি। খুনি নয়ন বন্ডের সাথে মিন্নির বিবাহ হয়েছিল, তবে সেই বিবাহের কথা গোপন করেই রিফাতের সাথে মিন্নির বিবাহ দেয় তার পরিবার। তাই মিন্নিকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নিহত রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।
শনিবার রাত পোনে আটটার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবী করেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, রিফাতের সাথে বিবাহ হওয়ার পরেও প্রতিনিয়ন নয়ন বন্ডের সাথে রিফাতের স্ত্রী মিন্নির যোগাযোগ ছিল। এমনকি মিন্নি প্রায় প্রতিদিনই নয়ন বন্ডের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। এ ছারাও রিফাতকে হত্যার সময় সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে সরকানি কলেজের সামনের গেটে মিন্নিকে রিফাত তার মটর সাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চায় তবে মিন্নি তখন সময়ক্ষেপন করে। আর তার মধ্যেই বন্ড গ্রুপ রিফাতকে মারধর করতে করতে কলেজের পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। সেই সময়ে মিন্নি স্বাভাবিক ভাবেই সেইসব দৃশ্য দেখতে থাকে এবং তাদের পিছনে হাটতে থাকে।
তিনি আরো বলেন, পরে যখন রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী দা নিয়ে এসে নয়নের হাতে দিয়ে কোপাতে শুরু করে, তখন মিন্নি বাধা দিলেও তাকে কেউ আঘাত করেনি। এসব বিষয়ের কারনে মিন্নিকেই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা দায়ী করে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান তারা।
এর আগে নয়ন বন্ডের মা সাংবাদিকদের বলেন ‘রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২৬ জুন (বুধবার)। এর আগের দিন মঙ্গলবারও মিন্নি আমাদের বাসায় এসে নয়নের সঙ্গে দেখা করে।’ ‘আমার ছেলে তো মারাই গেছে। আমার তো আর মিথ্যা বলার কিছু নেই। মিন্নি যে মঙ্গলবারও আমাদের বাসায় গিয়েছিল তা আমার প্রতিবেশীরাও দেখেছে।’
নয়ন বন্ডের মা আরও বলেন, ‘শুধু হত্যাকাণ্ডের আগের দিন মঙ্গলবারই নয়; রিফাত শরীফের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরও মিন্নি নিয়মিত আমাদের বাসায় এসে নয়নের সঙ্গে দেখা করত। মোটরসাইকেলে মিন্নিকে রিফাত শরীফ কলেজে নামিয়ে দিয়ে চলে যেত। এরপর মিন্নি আমাদের বাসায় চলে আসত। আবার কলেজের ক্লাস শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে মিন্নি আমাদের বাসা থেকে বের হয়ে কলেজে যেত।’
রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নি জড়িত দাবি করে নয়নের মা শাহিদা বেগম বলেন, ‘রিফাতের সঙ্গে মিন্নির বিয়ের খবর পাওয়ার পর আমি আমার ছেলেকে অনেক নিষেধ করেছি, যোগাযোগ না রাখতে। কিন্তু আমার ছেলে নয়ন কখনও আমার কথা শুনত না। ওর মনে যা চাইতো ও তা-ই করত। নয়ন যদি আমার কথা শুনত তাহলে এমন নির্মম ঘটনা ঘটত না।’