ঋতুস্রাব মেয়েদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই সময় অনেকের পেট ব্যথা হয়ে থাকে। কারোর কারোর এই ব্যথার পরিমাণ অনেক বেশি এবং প্রকট হয় যা দৈনিক স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাঁধা সৃষ্টি করে। এই ব্যথা উপশমে অনেকেই ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। এই ওষুধ সব সময় কাজ করে না। ওষুধের পরিবর্তে ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই ব্যথা দূর করা সম্ভব।
১। আদা
একটি ছোট আদা কুচি এক কাপ পানিতে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। জ্বাল হয়ে এলে এতে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মাসিক চলাকালীন সময় এটি নিয়মিত পান করুন। এছাড়া প্রতিদিনকার খাবারে আদা রাখুন। আদাতে থাকা উপাদান মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২। অ্যালোভেরা রস
অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। মাসিকের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়টি।
৩। দারুচিনি
দারুচিনির অ্যান্টিকোটিং, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান মাসিকের ব্যথা কমিয়ে দেয়। এক কাপ গরম পানিতে এক চার চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে জ্বাল দিন। এরপর এতে মধু মিশিয়ে নিন। তারপর পান করুন। মাসিক শুরু হওয়ার দুই তিন দিন আগ থেকে এটি পান করুন। এছাড়া এক গ্লাস গরম পানিতে আধা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এটিও আপনার মাসিকের ব্যথা দূর করে দেবে।
৪। ধনে বীজ
এক গ্লাস গরম পানিতে ১৫ থেকে ২০ টি ধনে দিয়ে জ্বাল দিন। এক গ্লাস থেকে পানি আধা গ্লাস না হওয়া পর্যন্ত পানি জ্বাল দিন। এবার এটি ঠান্ডা করে পান করুন। এটি মাসিকের ব্যথা কমানোর পাশপাশি রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
৫। গাজরের রস
এক গ্লাস গাজরের রস আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেটে ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে। মাসিক চলাকালীন প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস পান করার চেষ্টা করুন।
টিপস:
১। দেহের শুষ্কতারোধে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং পানিজাতীয় খাবার খান। কেননা এই সময়টাতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
২। এ সময়টায় কফি-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কফিতে মূলত ক্যাফেইন থাকে যা রক্তনালীসমূহকে উত্তেজিত করে তোলে।
৩। এই সময় রেড মিট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪। এছাড়া পেটে ব্যথার স্থানে গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। গরম পানিতে গোসল আপনাকে আরাম দেবে।