ডেস্ক: মাধ্যমিক পাশ করেই স্নাতক, তার পরেই স্নাতকোত্তর। সব শেষে উচ্চমাধ্যমিক। অন্তত খাতায়-কলমে এই অসাধ্য সাধনটি করেছেন নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শঙ্কর চৌধরি। মোদির দেওয়া টিকিটে যিনি ফের লড়ছেন বিধানসভা ভোটে।
গুজরাতের ভাভ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শঙ্কর ভোটে লড়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতেই দেখা যাচ্ছে, তিনি মাধ্যমিক পাশ করেছেন ১৯৮৭ সালে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ২০০৭ সালে, স্নাতকোত্তর ২০০৯ সালে। আর উচ্চমাধ্যমিক ২০১১ সালে! গুজরাতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দু’টি হলফনামা রয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। প্রথমটিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও সাল লেখা ছিল না। কিন্তু চার দিন পরের হলফনামাটিতে সাল লিখতেই তোলপাড় গুজরাত।
কংগ্রেস ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে। হাইকোর্টেও মামলা ঠুকেছে। নির্বাচন প্রচারে ব্যস্ত শঙ্করকে অবশ্য ফোনে ধরা যায়নি। কিন্তু দিল্লিতে বিজেপির এক নেতার কথায়, যদি সাল লিখতে কোনও ভুল হয়ে থাকে, সেটি শুধরে নেওয়া হবে। কিন্তু কংগ্রেস তাদের প্রচার উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়ে বলছে, এর আগে খোদ প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী, মোদির প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কম হল্লা হয়নি। সে ক্ষেত্রেও এই নির্বাচনী হলফনামা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। একমাত্র মোদি জমানাতেই এমন ‘বিচিত্র’ ঘটনা ঘটতে পারে বলে কটাক্ষ করছে কংগ্রেস।