ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। চেম্বার আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। গত ৫ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে পৃথক পৃথক চিঠি দিয়ে ভর্তি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী।
সেই সঙ্গে ভর্তি বাতিলের বিষয়টি চিঠি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে অবহিত করা হয়। এ ছাড়াও ভর্তি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
চলতি বছর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ১৬৯ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছিলো। যাদের জন্মসাল ছিলো ২০১৫ ও ২০১৬ সাল। কিন্তু মাউশি প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলেছিলো ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মসনদ রয়েছে এমন শিক্ষার্থীরাই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। কিন্তু এই ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ২০১৫ ও ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের জন্মসনদ দিয়ে তাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আবেদন করেন। পরে তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহনকারী ১০ জন এবং ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহনকারী ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হলো।
কোন শাখায় কতজনের ভর্তি বাতিল
ভিকারুননিসা স্কুলের চারটি শাখার মধ্যে নিউ বেইলী রোড প্রধান শাখায় বিধিবহির্ভূত ভর্তি হয়েছে ৭৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থী ৫ জন। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭১ জন। এই ৭১ জনের মধ্যে ১৭ জন ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষার্থী।
আজিমপুর শাখায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ জন। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৩ জন।
ধানমন্ডি শাখায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা একজন। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ জন।
বসুন্ধরা শাখায় ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ২৭ জন। এদের সকলের ভর্তি বাতিল করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।