ডেস্ক: ভারতে সরকারি চাকরির আবেদনের জন্য বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। শুক্রবার ভারতের রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম জি-নিউজে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলে আসছে। দেশের চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন- পাশের দেশে যদি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়তে পারে তা হলে বাংলাদেশে তা কেন সম্ভব নয়?
জি-নিউজের খবরে বলা হয়- ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির সরকারি চাকরির গ্রুপ `এ` পদে আবেদনের জন্য বয়সসীমা ৩২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৬ বছর করা হবে। শুধু তাই নয়, গ্রুপ `বি`-এর ক্ষেত্রে আবেদন করা যাবে ৩৯ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে অপরিবর্তিত থাকছে গ্রুপ `সি` আর `ডি` পদে আবেদনের বয়সসীমা।
অন্যদিকে, তফশিলি জাতি, উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীরা নিয়ম অনুযায়ী চাকরির আবেদনের বয়সে অতিরিক্ত ৫ বছর ছাড় পাবেন। চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীরাও ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরির সুযোগ পাবেন।
বাংলােশে `সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ চাই` দাবিতে আন্দোলনের এক কর্মী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করা জুবাইর আল আহমেদ বলেন-`আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে আগে থেকেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আমাদের থেকে বেশি ছিল। তারপর আবারও বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে। অথচ আমরা বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। সরকার এ বিষয়ে কোনো পদেক্ষেপই নিচ্ছে না।`
অপর এক আন্দোলনকারী আশরাফুল ইসলাম প্রশ্ন তোলেন-`ভারতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো গেলে বাংলাদেশে কেন যাবে না?`
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে `বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের` ব্যানারে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেশে আন্দোলন চলছে। অপরদিকে দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে সংসদে দুই দফা বক্তব্য দিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ জুন সংসদে একই কথা বলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বেগম ইসমাত আরা সাদেকও জানান- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।