ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অব এডুকেশন রিপোর্ট (এএসইআর)। এতে বলা হয়েছে দেশটির অর্ধেক শিক্ষার্থীই অঙ্কের সাধারণ বিষয়ে কাঁচা। গ্রামীণ এলাকার ১৪-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪২ শতাংশেরই প্রাথমিক ইংরেজি জ্ঞান নেই। এছাড়া এদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ নিজ মাতৃভাষায় বই পড়তে পারেনা।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ভারতের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত এএসইআরের বার্ষিক প্রতিবেদনের ২০২৩ সালের সংস্করণে এসব তথ্য জানানো হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, গ্রামীণ এলাকায় ১৪-১৮ বয়সীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীই নিজ ভাষায় দ্বিতীয় শ্রেণির বই ঠিকমতো পড়তে পারে না। অর্ধেক শিক্ষার্থী তিন সংখ্যার অঙ্ককে এক সংখ্যা দিয়ে ভাগ করতে গিয়ে হোঁচট খায়। মাত্র ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ঠিকভাবে ওই ভাগ করতে পারে। কিন্তু ওই ক্ষমতা তাদের ৩-৪ শ্রেণিতেই হয়ে যাওয়ার কথা।
সমীক্ষায় তুলে আনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ইংরেজি পড়তে পারে। তাদের মধ্যে আবার তিন চতুর্থাংশ ওইসব বাক্যের অর্থ বুঝতে পারে। দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো বই ওইসব শিক্ষার্থীদের ৭৬ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীই পড়তে পারে। ছেলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আরও কম। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী কত ঘণ্টা ঘুমিয়েছে, তারা কেবল তা হিসাব করে বলতে পারে।
ভারতের ২৬ রাজ্যের ২৮ জেলাকে বেছে নিয়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছে এএসইআর। কথা বলা হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৪৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। দেশটির প্রতিটি রাজ্যের একটি করে জেলা বেছে নেওয়া হয়। তবে উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশ থেকে নেওয়া হয় দুইটি করে জেলা।
এই প্রতিবেদন তৈরিতে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও নিজের ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য চারটি মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলো হল পঠন, গণিত ও ইংরেজির প্রাথমিক দক্ষতা; দৈনন্দিন হিসাব-নিকাশে প্রাথমিক জ্ঞানের ব্যবহার; লিখিত নির্দেশনা পড়তে ও বুঝতে পারা এবং বাস্তব জীবনের আর্থিক হিসাব-নিকাশ।