জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরীক্ষার্থীরা এ ভর্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত এই ক্যাম্পাসটিতে কিভাবে যাবেন এ প্রশ্ন হয়তো অনেকের মাথায় ঘুরছে।
যারা ঢাকা সিটি থেকে জাবি আসবেন তারা সদরঘাট থেকে ‘সাভার পরিবহন বাস’ ব্যবহার করতে পারেন। বাসটি জাবি গেইটে নামিয়ে দিবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ‘মৌমিতা বাস’ দিয়ে আসতে পারেন। যাত্রাবাড়ী থেকে ‘ঠিকানা, মৌমিতা, নীলাচল, লাব্বাইক বাস আছে যা জাবি পর্যন্ত যায় । মুগদা, খিলগাঁও, মৌচাক বসবাসকারীরা ‘লাব্বাইক’ বাসে করে যেতে পারবেন। ফার্মগেট থেকে ‘ওয়েলকাম, লাব্বাইক, স্বজন’ বাসে যেতে পারবেন। বাড্ডা, আগারগাঁও থেকে ‘রইছ, বৈশাখী’ বাসে করে যেতে পারেন। মিরপুর ১-১০ থেকে ‘ইতিহাস, রাজধান ‘ বাসে করে যাওয়া যায়। শাহবাগ থেকে ‘সাভার পরিবহন’ বাসে করে যাবেন। গুলিস্তান থেকে সাভার পরিবহন, মৌমিতা বাসে করে যাবেন।
এছাড়াও যারা ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ, ভালুকা, মাওনা, রাজেন্দ্রপুর, সালনা, গাজীপুর থেকে আসবেন তারা প্রথমে গাজীপুর চৌরাস্তা আসবেন। সেখান থেকে যেকোনো লোকাল বাসে করে চন্দ্রা আসতে পারবেন। চন্দ্রা থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আসার বাস পাওয়া যায়।
টঙ্গী, গাজীপুর বোর্ড বাজার থেকে যারা আসবেন তারা প্রথমে আব্দুল্লাহপুর চলে আসবেন সেখান থেকে ‘বিকাশ, আশুলিয়া’ বাসে করে নবীনগরে চলে যাবেন এবং নবীনগর থেকে সাভারে যেকোনো বাসে উঠলেই হবে আপনাকে জাবি নামিয়ে দিবে ।
যারা চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী থেকে বাসে আসবেন তারা ‘সাইনবোর্ড’ নেমে যাবেন এইখান থেকে ‘ঠিকানা, মৌমিতা, নীলাচল’ বাসে করে সরাসরি জাবি যেতে পারবেন। ট্রেনে করে যারা আসবেন তারা বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে আব্দুল্লাহপুর চলে আসতে পারেন।
এদিকে, ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ও শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ভর্তি পরীক্ষা শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষা চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে এবং সেগুলো আলাদা স্টিকার যুক্ত করে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে প্রধান ফটক (ডেইরি গেট) পর্যন্ত কোনো রিকশা চলাচল করবে না।
ছাত্রী হল থেকে আসা রিকশাগুলো বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের সামনে (টারজান পয়েন্ট পর্যন্ত) থামবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের দিকে কোনো রিকশা চলাচল করবে না। পরীক্ষার্থীদের গাড়ি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গেট দিয়ে ঢুকবে এবং সেনওয়ালিয়া গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেট দিয়ে প্রবেশ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজ মাঠ, রাঙামাটি পানির ট্যাংকের মাঠ, বিশমাইল খেলার মাঠসহ জাবি স্কুলকলেজ থেকে উত্তরদিকের সেনওয়ালিয়া পর্যন্ত অবস্থিত ফাঁকা জায়গাগুলো গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ি রাত আটটার পর থেকে চলতে পারবে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো অস্থায়ী দোকান বসানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, প্রধান ফটক ও জয়বাংলা ফটকসংলগ্ন খাবারের দোকানগুলো মনিটরিংয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।