বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি ফি ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকারের দেওয়া প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদক,২৯ আগস্ট: এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অবকাশকালীন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করে।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ সোমবার এই রিট আবেদন করেন। তার দাবি, ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই প্রজ্ঞাপন সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদসহ বিভিন্ন অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে প্রথম বর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ফি সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে।
সে অনুযায়ী, ভর্তি ফি হিসেবে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ইন্টার্ন ভাতা হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা মিলিয়ে মোট ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
ভর্তির সময় জমা দেওয়া ইন্টার্ন ভাতার এক লাখ ২০ হাজার টাকা ইন্টার্নশিপ চলাকালে লভ্যাংশসহ ছাত্র ছাত্রীদের ফেরত দিতে হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ১৯৯৭ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজকে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি দিয়ে কিছু শর্ত আরোপ করে।
এর মধ্যে ৬ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, ভর্তির সময় কোনো ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে উন্নয়ন ফি হিসেবে কেনোভাবেই পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। আর ৭ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ১২০০ টাকার বেশি মাসিক বেতন নেওয়া যাবে না।
এছাড়া ২০১০ সালের বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ৫ (৫) ধারা অনুযায়ী ‘মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির নীতিমালা ও শর্তাদি নির্ধারণ’ করবে কাউন্সিল। কিন্তু এখানে সরকারই তা নির্ধারণ করে দিয়েছে।