হাসমত আলী জানান, তার মেয়ে স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে। তখন কিছু বোঝা যায়নি। গত বছর ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ভর্তি হয় সে। সম্প্রতি তার কয়েকজন সহপাঠী প্রথমে সেতুর পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত করে। কয়েক দিন পর সেতু নিজ থেকেই বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।
সেতুর মা নাজমা খানম জানান, তার এই শারীরিক পরিবর্তন একদিনে হয়নি। ধীরে ধীরে সে নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছে। একই সঙ্গে তার জীবনযাপন ও আচরণগত পরিবর্তন এসেছে। নারী হলেও তার কথাবার্তা এবং চালচলনে আগে থেকেই পুরুষের কিছু উপসর্গ দেখা গেছে।
নিজের রূপান্তরের বিষয়ে সেতু ওরফে সাহুল সিদ্দিকী জানান, গত ৩০ মার্চ দিবাগত রাতে ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ তার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। পরে বাবা-মা ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ করেন। এরপর ঢাকার এক অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এহিয়া কামাল বলেন, হরমোনজনিত কারণে এ রকম দৈহিক পরিবর্তন হতে পারে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।