বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তিনটি বিসিএসসহ একাধিক নন-ক্যাডারের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন পদোন্নতির পরীক্ষাগুলোও আয়োজন করতে পারছে না সাংবিধানিক সংস্থাটি। এ অবস্থায় চাকরিপ্রার্থী কয়েকলাখ তরুণ বেকায়দায় পড়েছেন।
যদিও পিএসসি বলছে, তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। ক্যাডার, নন-ক্যাডারের ফল প্রস্তুত, স্থগিত পরীক্ষাগুলো আয়োজনসহ নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সবুজ সংকেত না মেলায় এই কার্যক্রমগুলোতে গতি আসছে না বলে দাবি সংস্থাটির।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের কারণে কোনো কাজই ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না। বিষয়টি সরকারকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। পিএসসি’র কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারে শীর্ষ কর্মকর্তাদের একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে সেই চিঠির কোনো উত্তর মেলেনি। ফলে স্থবিরতা কবে কাটবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’
গণঅভ্যুত্থানের পর পিএসসি চেয়ারম্যান-সদস্যসহ প্রায় সব কর্মকর্তা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। যে কোনো মুহূর্তে পিএসসিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে ধারণা তাদের।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে,কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন সবার আগে স্থগিত করা হয় ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা। পরবর্তীতে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারভুক্ত ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অর্ধবার্ষিক বিভাগীয় পরীক্ষা স্থগিত করে পিএসসি। আর দীর্ঘদিন ধরে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলও আটকে আছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর পিএসসি চেয়ারম্যান-সদস্যসহ প্রায় সব কর্মকর্তা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। যে কোনো মুহূর্তে পিএসসিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে ধারণা তাদের। এজন্য সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন কর্মকর্তারা। সরকারে পক্ষ থেকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত পেলে তবেই স্থবিরতা কাটতে বলে অভিমত তাদের।