ডেস্ক,২৫ মার্চ: ৩৯তম বিসিএস বিশেষ হবে তা আগেভাগেই বলেছিল সরকার। এই বিসিএসের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। এজন্য দরকার ছিল বিধিমালা সংশোধনের। তাই শনিবার (২৪ মার্চ) বিধিমালা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এদিকে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, বিধিমালা সংশোধন হওয়ায় এখন এই বিসিএসের কার্যক্রম শুরু করতে আর কোনো বাধা থাকল না।
এ বিষয়ে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নেসারউদ্দিন (ক্যাডার) বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন হাতে পাইনি। এটি পেলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৩৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ৩৯তম বিশেষ বিসিএস চিকিৎসকদের নেয়ার সিদ্ধান্ত আগেই হয়। তবে এর জন্য বিধিমালা সংশোধন করার প্রয়োজন ছিল। বিধিমালা সংশোধনের পর এ বিসিএসের কার্যক্রম শুরু করতে আর কোনো বাধা থাকল না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে শুধু এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী) পরীক্ষা হবে। এতে ২০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এ ছাড়া ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা থাকবে।
সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে, মেডিকেল সায়েন্স বা ডেন্টাল সায়েন্স বিষয়ে দিতে হবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ থাকবে। আর বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০ নম্বর করে থাকবে। মানসিক দক্ষতা ও গাণিতিক যুক্তিতে থাকবে ১০ নম্বর করে। মোট ২০০ নম্বরের এমসিকিউ থাকবে। পরীক্ষা হবে দুই ঘণ্টার। প্রতি এমসিকিউ প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য দেয়া হবে এক নম্বর। আর প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর নির্ধারণ করবে পিএসসি। মৌখিক পরীক্ষার পাস নম্বর ৫০ ধরা হয়েছে। এ পরীক্ষা হবে শুধু ঢাকায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৩৯তম বিসিএসে ৪ হাজার ৫৪২ জন সহকারী সার্জন আর ২৫০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেয়া হবে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।