বিকাশের মাধ্যমে মাধ্যমিকের উপবৃত্তি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) আওতায় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড এবং বিকাশের মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সেসিপ প্রোগ্রাম পরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওযাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর চাই লি, সেসিপ যুগ্ম-প্রোগ্রাম পরিচালক মো. আবু ছাইদ শেখ, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাইল হোসেন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানস্থল থেকে শিক্ষামন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম হুজুর উদ্দিন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিকাশের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করেন।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহের হোসেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রীর কাছে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এ উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় সেসিপের মাধ্যমে দেশের ১৭টি জেলার ৫৪টি উপজেলায় মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি বিতরণ করা হবে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ২ লাখ ৫২ হাজার ৯২৮ জন শিক্ষার্থীকে এ প্রকল্পের আওতায় ২৪ কোটি ৬১ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারা দেশের সব উপজেলায় উপবৃত্তি চালু আছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। সেসিপের এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ৫৪টি উপজেলার শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ব্যাংকের সহযোগিতায় বিকাশের মাধ্যমে তাদের উপবৃত্তির টাকা পাবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা তাদের হাতে চলে যাবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষার মান বেড়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার সহজলভ্যতা ও গুণগত মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেসিপের আওতায় ১২ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রায় চার লাখ শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।