নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেশবপুরের ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক হাজিরা ও অন লাইন স্কুল ম্যানেজমেন্ট চালু করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত হাজিরা, ঝরে পড়া বন্ধ ও ইন্টারনেট ভিত্তিক লেখা পড়ার জন্য কেশবপুরে এই প্রথম শুরু হলো ডিজিটাল লেখা পড়া। রবিবার সন্ধ্যায় কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক হাজিরা ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কবির হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব মোল্লা আমির হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক টিএম জাকির হোসেন, খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষার উপপরিচালক ওয়ালিউল ইসলাম, সেন্টানিক টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালিদ নোমান হুসাইন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, ইউএনও এস এম সাইফুর রহমান প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবে উন্নত। বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাঁকে হত্যা করা হলো। বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা উন্নয়নের সুফন পাচ্ছি। অন লাইনেই এখন অধিকাংশ কাজ হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থারও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। শিক্ষিত জাতি গড়তে মানসম্মত শিক্ষক দরকার মানসম্মত শিক্ষার জন্য। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে আমাদের ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে নিজেদের স্থান উন্নত করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষের আয়, শিক্ষার হার বেড়েছে, মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, প্রথম পর্যায়ে এস.এস.জি বরণডালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাগরদাঁড়ি এম এম ইনস্টিটিউশন, প্রতাপপুর নিভারাণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিবিএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাংগা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মূলগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভেরচী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বুড়িহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম সাইফুর রহমান বলেন, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে ১টি করে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে ডিজিটাল পদ্ধতির হাজিরা চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের স্কুল ফাঁকি দেওয়া রোধ হবে এবং অভিভাবকরাও সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারে সচেতন হবেন।