আনন্দবাজার ডেস্ক,২৭ আগষ্ট: ‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। ডেরা ভক্তরা তাঁকে ‘পাপা’স অ্যাঞ্জেল’ বলে চেনেন এবং মানেনও। তিনি হানিপ্রীত ইনসান। ডেরা সচ্চা সৌদা-র প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহের তিন মেয়ের মধ্যে অন্যতম। তাঁকেই এখন রাম রহিমের উত্তরসূরি হওয়ার অন্যতম দাবিদার বলে মনে করা হচ্ছে।
হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়ঙ্কা তানেজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। ৫ লক্ষ। ভক্তদের অনেকে মনে করেন, তাঁর সিদ্ধান্তই ‘বাবা’র সিদ্ধান্ত। হানিপ্রীত রাম রহিমের পালিত কন্যা হলেও বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ। আর সে কারণেই নাকি খুব অল্প সময়েই তাঁর উত্থান। হিসারের ফতেহবাদের এক সাধারণ ঘরের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা। ১৯৯৯-এ সিরসার এক ডেরা ভক্ত বিশ্বাস গুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সেই সময় থেকেই রাম রহিমের সঙ্গে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতা। প্রিয়ঙ্কা থেকে তিনি পরিচিত হন হানিপ্রীত নামে। রাম রহিম-ই প্রিয়ঙ্কাকে ওই নাম দেন। ডেরা অনুগামীরা দাবি করেন, ‘বাবা’র কাছে শ্বশুরবাড়ির পণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন হানিপ্রীত। তার পরই নাকি ২০০৯-এ হানিকে দত্তক নেন রাম রহিম। তখন থেকেই বাবা-র ছায়াসঙ্গী হানি।
রাম রহিমের ছায়াসঙ্গী ছাড়াও হানির অন্য একটা পরিচয় আছে। ডেরা অনুগামীদের দাবি, হানি নাকি খুব প্রতিভাবান। খুব অল্প সময়ের মধ্যে কোনও কিছু রপ্ত করে নিতে সিদ্ধহস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় হানি নিজেকে সমাজসেবী, নির্দেশক, পরিচালক এবং অভিনেত্রী হিসাবেও দাবি করেন। মেয়ের গুণ দেখে ‘বাবা’ও আপ্লুত হয়েছিলেন। ডেরা-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রাম রহিম যখন হানিকে নির্দেশনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে দেখেছিলেন, তখনই সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে তাঁর একটি ছবি পরিচালনার কাজ দেবেন। আর দিয়েও ছিলেন। ‘মেসেঞ্জার অব গড: দ্য ওয়ারিয়র লায়ন হার্ট’ ছবিতে পরিচালনার কাজ করেন হানিপ্রীত। ২০১৫-য় ওই ছবিতে পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন হানি।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাম রহিমকে যখন গ্রেফতার করে রোহতকে নিয়ে যাওয়া হয়, সে সময়ও হানিকে তাঁর পাশেই দেখা যায়। ডেরা-র উত্তরসূরি নিয়েই তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তা হলে এ বার কি ডেরা-র হাল ধরবেন হানি? সময়ই বলবে সেটা