চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উপাচার্যের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কর্মরত ১৫৫ জন কর্মচারী।
এছাড়া বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ভেতরে ভিসির কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন কর্মচারীরা। এসময় চাকরী স্থায়ী করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ আন্দোলনরত কর্মচারীদের সাথে কথা বলে আন্দোলন প্রত্যাহার করার অনুরোধ করলেও তারা তা না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যান। চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়া পযর্ন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনকারী কাজী নাদিমুজ্জামানসহ আন্দোলনকারীরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে ১৫৫ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু চাকরি স্থায়ীকরণ ও বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি খন্দোকার নাসিরউদ্দিন থাকাকালে এসব কর্মচারীদের দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অস্থায়ী নিয়োগ দেন। বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও নিয়মিত বেতনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। বিভিন্ন সময় তাদের চাকরি স্থায়ী ও বেতন নিয়মিত করার আশ্বাস দিলেও অদ্যবধি কোনো সমাধান না হওয়ায় তারা এ আন্দোলনে যায়।
এদিকে, আইন না মেনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, দীর্ঘ দিন ডিউ হওয়ার পরেও আপগ্রেডেশন বোর্ড না করা এবং ডিউ ডেট বাস্তবায়ন না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ২য় দিনের মতো পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে পড়েছে।