ডেস্ক: মানুষের জীবনযাত্রা, যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি গত কয়েকদিনের বন্যার প্রভাব পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থায়ও।
এই মৌসুমের দ্বিতীয় দফা বন্যায় সারাদেশের এক হাজারেরও বেশি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া পানি উঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপপরিচালকদের কাছ থেকে টেলিফোনে প্রাপ্ত তথ্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা এক হাজার ১৫টি। আর পানি উঠেছে, ভেঙে গেছে কিংবা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন বিদ্যালয় ৪৫টি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জামালপুর জেলায়। মোট ৩১৩টি বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জামালপুরে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪টি বিদ্যালয়।
কুড়িগ্রামে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৫৩টি বিদ্যালয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫টি বিদ্যালয়।
দিনাজপুরে ১১৭টি, সুনামগঞ্জে ১০৭টি, সিরাজগঞ্জে ৭০টি, লালমনিরহাটে ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বন্যার কারণে।
এছাড়া মানিকগঞ্জে ৫টি, মুন্সিগঞ্জে ১টি, শরীয়তপুরে ১টি, রাজবাড়ীতে ২টি, ময়মনসিংহে ১৫টি, নেত্রকোনায় ২০টি, সিলেটে ৬টি, বগুড়ায় ১০টি, নওগাঁয় ১৩টি, পাবনায় ৫টি, জয়পুরহাটে ৫টি, গাইবান্ধায় ১১টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৮টি বিদ্যালয়ে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
ঢাকা জেলায় পানি প্রবেশ করেছে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। মানিকগঞ্জে নদীতে বিলীন হয়েছে ১টি এবং ভেঙে গেছে ১টি বিদ্যালয়। ফরিদপুরে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়েছে। গোপালগঞ্জের ৭টি বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে।
এছাড়াও ময়মনসিংহে ১টি, নেত্রকোনায় ১টি, সিরাজগঞ্জে ১টি, কুড়িগ্রামে ৫টি ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৮টি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকার প্রায় দুই হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১ হাজার ৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহবুব এলাহী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জামালপুরে ৮৭৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বগুড়ার তিন উপজেলার ৮২টি বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলায় বন্যার কারণে মোট ২১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭০টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মোট ১৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনে পানি উঠে পড়েছে।