নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া : ২৬ এপ্রিল : বগুড়ায় মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ২০ জন শিক্ষার্থী হয়েছেন।
ইন্টার্নশিপ ভাতা প্রদান, স্বতন্ত্র শিক্ষাবোর্ড স্থাপন, স্নাতক কোর্স চালু এবং কর্মসংস্থানের সুযোগসহ চার দফা দাবিতে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধ চলাকালে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর অবরোধকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশও শিক্ষার্থীদের ওপর বেধরক লাঠিচার্জ করে। পুলিশের মারধরের শিকার হয় বেশ কয়েকজন ছাত্রী। লাঠিচার্জ ও ধাওয়ার মুখে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী পিছু হটলেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে একটি বিআরটিসি বাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে।
এরআগে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শহরের তিন মাথা এলাকায় স্টেশন সড়ক অবরোধ করে রাখে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার দফা দাবিতে মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার বগুড়ায় এ সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএমএস) বগুড়া জেলা শাখা।
সাইক ম্যাটসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জয়শ্রী কর অভিযোগ করেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে। এ সময় পুলিশের মারমুখী পুরুষ সদস্যদের হাতে তিনিসহ শামিমা, সোমা, শাকিলা, ফাহিমাসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করলে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে মাত্র। এ সময় ধস্তাধস্তি হলেও মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। উল্টো শিক্ষার্থীরাই পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। আটকদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।