ডেস্ক,৭ এপ্রিল ২০২৩: গলাকাটা টিউশন ফি আদায় করে ফেঁসে যাচ্ছে রাজধানীর নামিদামি সাতটি স্কুল। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এবার সরাসরি ‘অ্যাকশনে’ যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রথম ধাপে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। পরে এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, চেতনা মডেল একাডেমি, বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সামসুল হক খান উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ।
এছাড়া হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত টিউশন ফি আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) চিঠি দিয়েছে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাধ্যমিক শাখাকে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান নীতিমালার বাইরে ইচ্ছামতো ফি আদায় করছে। আমাদের তদারকি দল পরির্দশন করে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রমাণ পেয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আমরা দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেব।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, আমি অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে আছি। মন্ত্রণালয়ের চিঠি আমি দেখিনি। তবে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রমাণ পেলে এমপিও বাতিলসহ যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।