আরিফ তরফদার: যে দেশ আর দশের প্রয়জনে জীবন উৎসর্গ করতে পারে, সেইতো বীর। আমি ৫২ দেখিনাই, আমি ৭১ ও দেখিনাই , তবে সেইসব বীরদের গল্প শুনেছি। এই প্রথম আমি কোন জীবন্ত বীরকে দেখলাম যে,নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চায় হাসতে হাসতে দেশ ও দশের জন্য। আইসিডিডিআর,বি কতৃপক্ষের প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অন্যায় সিদ্ধান্ত ড: ফিরোজ আহমেদ কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তাইতো সর্বদা সোচ্চার ছিলেন, আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কোন কর্নপাত করছিলেন না কতৃপক্ষ। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি একা আমরন অনশন করবেন। করলেনও তাই। তার বুকে সাহস ছিলো অগাধ, কারন তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়ছেন। টানা চারদিন অনশনের পর আজ কতৃপক্ষ বাধ্য হয়েছেন সব দাবী মেনে নিতে। আজ ড: ফিরোজ আহমেদ অনশন ভঙ্গ করে সকল কর্মচারীর মুখে হাসি ফুটিয়েছন। ড: ফিরোজ আহমেদ আপনাকে স্যালুট জানাই আর কামনা করি আপনি এভাবেই দেশ আর দেশের মানুষের পাশ্বে থাকবেন সারাজীবন। এ দেশে আপনার মত নেতার খুব প্রয়জন। কারন এ দেশের মানুষ খুব অবহেলিত। বৃটিশ অনেকদিন আগে এ দেশ থেকে চলে গেলেও, কিছু দোসর রেখে গেছে যারা তাদের কায়দায় শোষন আর নির্যাতন এ দেশে বসে এখনও চালিয়ে যাচ্ছে অনবরত। সেই শোষন আর নির্যাতন থেকে এদেশের অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই আপনার মত নেতার জন্ম। ড: ফিরোজ আহমেদ আমরা আছি আপনার সাথে, থাকবো আজীবন।
আরিফ তরফদার
লেখক ও রাজনীতিবীদ