দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতি জটিলতা কাটছে। শিক্ষকরা যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি পেয়ে হতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক থেকে পরিচালক। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৃজন হচ্ছে সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদও। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বিধিমালাও চূড়ান্ত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। বাকি প্রক্রিয়া শেষে শুরু হবে বাস্তবায়নের কাজ।
আরো খবর:বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফল: জয়পুরহাটের একটি বিদ্যালয়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত সবাই বাদ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বিধিমালা ইতিমধ্যে সচিব কমিটিতে অনুমোদন হয়েছে। সর্বশেষ পাবলিক সার্ভিস কমিশনেও অনুমোদন হয়েছে, এখন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি হয়ে আসলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে আশা করছি, খুবই অল্প সময়ের মধ্যে এটা জারি করতে পারবো।
বিধিমালা অনুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে ১৩তম গ্রেডের প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক হতে পারবেন তারা। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ সৃজন হচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সরকারি প্রধান শিক্ষকের একটি পদ সৃজন করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এটার উপর কাজ চলছে।
প্রধান শিক্ষক সমিতির একাধিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষাবার্তাকে ফোনে জানান সচিব স্যারের মিথ্যা আশ্বাসে আমরা ভুলছি না। প্রধান শিক্ষকদের কোন পদোন্নতি নেই। ২৫ বছর বয়সি একজন সদ্য পাশ করা শিক্ষার্থীর সাথে ৪৫ বছর বয়সের শিক্ষকের পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া এটা হল গাধার মুলা দেখান।
একজন সহকারি সচিবদের যদি ২৫ বছর বয়সের কোন শিক্ষার্থীর সাথে পরীক্ষায় বসানো হয় এবং যদি তাকে বলা হয় পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই পদোন্নতি হবে তাহলে আমরা বুঝতে পারতাম সবার জন্য এক নিয়ম।
আমরা সারা দেশের শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের পদোন্নতির বিধান না থাকলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে নিয়োগ বিধি বতিল করব।