ঢাকা,৪ ডিসেম্বর: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাফতরিক কাজে হয়রানি কমাতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে। মাঠ কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে তাদের মাধ্যমে শিক্ষকদের সকল কাজ নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। দ্রুত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজের জন্য শিক্ষকদের রাজধানীতে অধিদফতরে আসতে হয়। এতে শিক্ষকদের সময় অপচয়, আর্থিক ব্যয় ও পাঠদানে বিঘ্ন ঘটে। অধিদফতর সচিবালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ির কারণে শিক্ষকদের কাজের দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হয়। এতে তাদের ডকুমেন্ট সাবমিট পদোন্নতিসহ নানা কাজের জটিলতা তৈরি হয় এবং শিক্ষকরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। কার মাধ্যমে হয়রানি হচ্ছেন তা শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর বলছে, শিক্ষকদের হয়রানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য কষ্ট করে তাদের ঢাকায় আসতে হবে না। নিজ জেলা থেকেই তাদের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন এবং তাদের সব ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
আর এক্ষেত্রে প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে জেলা কর্মকর্তাদের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস (ডিপিইও) ও বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষকদের কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হবে। শিক্ষকদের বদলি, উচ্চতর স্কেল, পিতৃত্বকালীন, মাতৃত্বকালীন নানা ছুটিসহ প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত সকল কিছু ডিপিইও ও বিভাগীয় পরিচালক নিষ্পত্তি করবেন। আগের মতো তাদের ঢাকায় এসে বিভিন্ন দফতর ও কর্মকর্তার কাছে হয়রানি শিকার হতে হবে না।
অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে। আর এতে শিক্ষকদের কাজের গতি বাড়বে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বিঘ্ন ঘটবে না। নিয়ম অনুযায়ী মাঠ কর্মকর্তাদের মাধ্যমিক শিক্ষকদের সকল বিষয় নিষ্পত্তি করার কথা থাকলেও এতদিন তা অধিদফতরের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হত। এটি পরিবর্তন করে আবারও মাঠ প্রশাসনে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও কাজের গতি নিশ্চিত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে অধিদফতরের ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। তারা তাদের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমের কাজের গতিশীলতা বাড়বে। এক্ষেত্রে যদি প্রশাসনিক কাজে কোনো ধীরগতি দেখা দেয়, এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’