নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিদ্যমান বেতন যথাযথ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। গত রোববার অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব সাদিয়া শারমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১০ ও সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১২তে উন্নীতকরণের সুযোগ নেই।’
জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর গ্রেড পরিবর্তনের প্রস্তাবনা গত ২৯ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের দাবির মুখে এ প্রস্তাবনায় প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। যদিও সহকারী শিক্ষকদের দাবি ছিল ১১তম গ্রেডে বেতন ভাতা। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি সমালোচিত হয়েছিল শিক্ষক মহলে।
বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ প্রাথমিকের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ দৈনিক শিক্ষাবার্তা ডটকমকে বলেন, আমরা সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেড চেয়েছিলাম। আমরা ১১মত গ্রেডের দাবিতে আছি। এ দাবি আদায়ে খুব তাড়াতাড়ি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সিনিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দাস দৈনিক শিক্ষা বার্তা ডটকমকে জানান, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শিগগিরই জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।