ডেস্ক,১০ সেপ্টেম্বর:
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষক নেতারা। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের লক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে এক জরুরি সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সভা শেষে বেতন বৃদ্ধির দাবি প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। তারা জানান, শিগগিরই আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
৪ সেপ্টেম্বরের এক চিঠিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকের শিক্ষকদের বিদ্যমান বেতন যথাযথ রয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে উপসচিব সাদিয়া শারমিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১০ ও সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১২তে উন্নীতকরণের সুযোগ নেই।’
এদিকে বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা (ঠাকুরগাঁও), সিনিয়র সহ সভাপতি ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি এম এ ছিদ্দিক মিয়া, গোলাম মোস্তফা ( ময়মনসিংহ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল করিম (কুষ্টিয়া), এ কে এম শরিফুল হুদা সাগর ( রাজবাড়ী), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদুর রহমান , বিল্লাল হোসেন ( চাঁদপুর) প্রমূখ।
শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানের দাবি দীর্ঘদিনের। সরকার বারবার এ দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েও তা আবার নাকচ করা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে অঙ্গীকার করেন। ক্ষমতা গ্রহণের পরেও তিনি বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। সে ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রণালয়ের এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন। তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।