নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১
কোটা প্রথা বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
নিয়োগ প্রত্যাশী এক প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ রুল জারি করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী মো. তারেক রহমান গত বছর এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদি করা হয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গত বছরের ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত প্রজ্ঞাপনের ৮ম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। গতকাল সোমবার হাইকোর্ট রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে রুল জারি করেছেন বলে জানান একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।