নিজস্ব প্রতিবেদক,৭ ডিসেম্বর:
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের ৯/৩/২০১৪ হতে ১৪/১২/২০১৫ পর্যন্ত বৈধ টাইমস্কেল চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন প্রধান শিক্ষক সমিতিরে সভাপতি রিয়াজ পারভেজ ও সিনিয়ার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক স্বরুপ দাস। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিট পিটিশন নং ৬৫৫৭। রিট পিটিশনের মামলায় বলা হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হলেও প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদার কোন পরিবর্তন হয়নি। বিধায় সরকারের সকল কর্মচারির ন্যয় প্রাধমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরাও টাইমস্কেল পারেন। মামলাটি ইতিমধ্যে Justice Md. Khasruzzaman and Justice Md. Mahmud Hassan Talukder এই বেঞ্চে ২৬৮ নং কজ লিস্টে আছে।
টাইমস্কেল না পাওয়ার কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, প্রধান শিক্ষকদের চাকরি তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়াও ২০০৯ সালে জারি করা জাতীয় বেতনস্কেলে তৃতীয় শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের উচ্চতর স্কেল দেয়ার বিধান আলাদা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়ে টাইমস্কেল দেয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছিল।
বাস্তবায়ন অনুবিভাগের উপসচিব রওনক আফরোজা সুমা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে বিধায় দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিকালের সঙ্গে তৃতীয় শ্রেণির চাকরিকাল গণনা করে তারা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৯ এর ৭(১) অনুচ্ছেদ মোতাবেক টাইমস্কেল প্রাপ্য হবেন না।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, টাইম স্কেল প্রদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ৭(১) অনুচ্ছেদ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ৭(২)অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য।
২০১৯ সালে জারি হওয়া জাতীয় বেতন স্কেলে ২য় শ্রেণির চাকরিজীবীদের জন্য ৮ বছর ও ১২ বছরে মোট দুইটি টাইমস্কেল দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে তৃতীয় শ্রেণির চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ৮ বছর, ১২ বছর এবং ১৫ বছরে মোট তিনটি টাইমস্কেল দেয়ার বিধান উল্লেখ করা হয়েছে।
সে হিসেবে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাস থেকে কোনো প্রধান শিক্ষকের চাকরির ৮ বছর এখনও পূর্ণ হয়নি।
এদিকে ২০১৫ সালে জারি হওয়া চাকরি (বেতন ভাতাদি) আদেশে একই পদে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরির ১০ বছর পূর্তি এবং ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর স্কেল দেয়ার কথা বলা হয়েছে।