নিজস্ব প্রতিবেদক,১৪ অক্টোবর ২০২১:
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক এমনকি কলেজগুলোতে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসূত্রে এমন তথ্যই জানা গেছে।
আরো খবরঃ শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নির্দেশনা
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, খুব শিগগির স্কুল-কলেজের বিভিন্ন শ্রেণিতে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ার ঘোষণা আসতে পারে। তবে আগের নিয়মে ক্লাস হয়তো আগামী বছরের জানুয়ারী থেকে শুরু হবে।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে স্কুল-কলেজে সশরীরে আংশিক পাঠদান কার্যক্রম। তবে প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাস হচ্ছে না। শুধু চলতি বছরের ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য শ্রেণির মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম, নবম শ্রেণিতে দুই দিন এবং অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক দিন ক্লাসে আসতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাস কার্যক্রম স্বাভাবিক হোক। স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক পাঠদান শুরুর জন্য আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘প্রাথমিকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে অনুমতি পেলেই স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কিছু কিছু শ্রেণিতে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ার ঘোষণা দেয়া হতে পারে।’
শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পরই স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক পাঠদান শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আশা করছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনাপ্রতিরোধী টিকার আওতায় চলে আসবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। আশা করছি, আগামী জানুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে। এর অংশ হিসেবে মাউশি থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষা কার্যক্রমের একাডেমিক সুপারিভিশন শুরু করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নভেম্বর মাসে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সরকার আপাতত এই দুটি পাবলিক পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শেষ করার প্রতিই বেশি জোর দিচ্ছে।’