নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩০ অক্টোবর, ২০২২:
১৫ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন শিক্ষকদের যোগদান প্রক্রিয়া শেষ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর এখন থেকে ৩ বছর পরপর শিক্ষকরা বদলি হবেন বলেও মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সচিব।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে যোগদান কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আগেই ফল দেয়ার কথা থাকলেও যারা শিক্ষক ছিলেন তাদের বদলির বিষয়ে আবেদন করা ছিলো। ফলে এ কাজটি আগে করা হচ্ছে। আবার কোভিডের কারণেও দেরি হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে মামলা চলমান আছে। তা নিষ্পত্তিরও চেষ্টা করছি। যেসব কর্মকর্তা অনেক সময় ধরে একই জায়গায় আছেন তাদের প্রতি তিন বছর পর পর বদলি করার বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে। তাদের বদলি করা যাবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে বদলি কার্যক্রম পরিচালনায় নীতিমালাও তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা নতুন করে প্রণয়ন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জানুয়ারি থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক শিফটে আনার চেষ্টা চলছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা, শিখন সময় বৃদ্ধি, সব বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেসব স্কুলের কক্ষ দুটি, সেখানে এক রুমে প্রাক প্রাথমিক, অন্য রুমে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
বিদায়ী সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রোববার তার শেষ কর্মদিবস। এ উপলক্ষেই সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেখানেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের কথা উঠে আসে।
এক প্রশ্নের উত্তরে আমিনুল ইসলাম বলেন, সব মন্ত্রণালয়ই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যেখানে আমাকে ভালো মনে করবে আমি সেখানেই কাজ করতে খুশি।