নিজস্ব প্রতিবেদক,৩ মে ২০২২ঃ দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। তিন ধাপের পরীক্ষার প্রথম ধাপ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে আগাশী ২০ মে ও তৃতীয় ধাপে ৩ জুন পরীক্ষা হবে। এবার মোট ৪৫ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯-তে বলা আছে, সরাসরি নিয়োগে পদের ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা অনুসরণ করা হয়। এ তিন কোটায় ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তবে বিজ্ঞানের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধায় নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি দিয়ে পূরণ করা হয়। ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়। পদোন্নতির যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগ দিয়ে পূরণ করা হয়।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণসহ সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। আর সরাসরি নিয়োগে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি প্রয়োজন। বয়সসীমা ২১-৩০ বছর। আর সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়। এ জন্য দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি প্রয়োজন। বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণে বলবৎ অন্য কোনো বিধি, সরকারি সিদ্ধান্তে বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে সে বিধান অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়। পোষ্য কোটায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকা বা ছিলেন, এমন শিক্ষকের অবিবাহিত সন্তান, বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা, যারা শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল প্রার্থীরা সুবিধা পাবেন।
আরো পড়ুনঃ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে পেল দেড় হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়