প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গত ১৫ দিনে চিহ্নিত কিছু কর্মকর্তাকে বদলির নির্দেশনা দিলেও, তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তার মধ্যে বিধি-বহির্ভূতভাবে ভ্রমণ ভাতা নেয়ার দায়ে চিহ্নিত ১২ কর্মকর্তাকে এবং বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে (ডিপিই) সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে আরও ১২ জনকে বদলির নির্দেশ দেন তিনি।তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাউকে বদলি করা হয়নি। এ নির্দেশনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে বির্তক উঠেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চার বছর আগের এক তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গত ২ এপ্রিল ১২ কর্মকর্তাকে তিনদিনের মধ্যে শাস্তিমূলক বদলির নির্দেশ দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। ওই ১২ কর্মকর্তা ২০১৫ সালে ভুয়া ভ্রমণভাতা গ্রহণ করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তখন বিষয়টি তদন্ত হয়।
জানা গেছে, ওই প্রতিবেদনে এমন ১২ কর্মকর্তাকে এই প্রক্রিয়ায় ভাতা গ্রহণের দায়ে চিহ্নিত করা হয়। তাদের মধ্যে আছেন- তখনকার উপপরিচালক শেখ মো. রায়হান, ইফতেখার হোসেন ভুইয়া, কর্মকর্তা মিজাউল ইসলাম, আতাউর রহমান, সোনিয়া আক্তার, সহকারী পরিচালক রাজা মিয়া, মাহফুজা বেগম, শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুননাহার, মো. মজিবুর রহমান, মাহফুজুর রহমান জুয়েল, সহ-শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, একই ব্যক্তি একাধিক স্থান থেকে একই তারিখে সম্মানী, টিএ/ডিএ উত্তোলন করেছেন, যা তার প্রাপ্য অর্থের চেয়েও অধিক পরিমাণে বেশি। আবার বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রে সব বিমানবন্দরের জন্য একই পরিমাণে টিএ/ডিএ আদায় করেছেন। একইসঙ্গে একই পথে ভ্রমণের প্রত্যেক স্থান থেকে টিএ/ডিএ গ্রহণ করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখিত স্থানে না গিয়েও ভাড়া বাবদ অর্থ আদায় করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, ডিপিই’র কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতিমন্ত্রীর কাছে বেশকিছু অভিযোগ আসে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে সহকারি বিদ্যালয়ে বদলিতে বাণিজ্য, ডিপিইতে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি করে অর্থ আদায়, বছরের পর বছর এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে সিন্ডিকেট তৈরি, নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি উঠে আসে।