ডেস্ক,২২ জুলাই ২০২২:
সরকারি প্রাথমিকে চলছে সহকারী শিক্ষকদের মৌখিক পরীক্ষা। এরপর সারাদেশের প্রাথমিকে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে নতুন শিক্ষক নিয়োগের আগেই বদলি কার্যক্রম চালুর চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরো খবর: পত্রিকার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চার দফা নির্দেশনা
বুধবার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহিবুর রহমান বলেন, এটি বাস্তবায়ন করতে উপরের লেভেলের সিদ্ধান্ত লাগবে। আর সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের বিষয়টিও তৈরি রাখতে হবে। তাহলেই এটি সম্ভব। তবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। দেখা যাক বাকিটা কী হয়।
জানা যায়, দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বদলি বন্ধ রয়েছে। গত মাসে গাজিপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং প্রকল্প চালু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অনলাইনে কিভাবে আবেদন দেবে, কিভাবে যাচাই-বাছাই হবে ডিজিটালি এই বিষয়টিই দেখা হচ্ছে। এখান থেকে অনলাইনে বদলির সুবিধা-অসুবিধাগুলো দেখার পর সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে বদলি চালু করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় অনলাইন বদলি কার্যক্রমের কাজ চলছে। আগামী রোববার ১৮ জন শিক্ষককে অনলাইনে বদলির অর্ডার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গাজিপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, এর আগে ডিজিটালি এই কর্মকাণ্ডে প্রাথমিক কিছু সমস্যার কথাও জানান তিনি। তবে সে সমস্যার সমাধান করে বদলি শুরু করা হচ্ছে ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অনেক উপজেলা আছে যেখানে স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি; কিন্তু শিক্ষকের সংখ্যা কম। আবার অনেক উপজেলায় শিক্ষার্থী অনুযায়ী শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। মূলত এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যেকারণে শুধু মাত্র উপজেলার অভ্যন্তরে ডিজিটাল বদলি চালু করা হতে পারে। তবে জেলাভিত্তিক ও বিভাগীয় পর্যায়ে বদলি চালুর কথা এখনো ভাবছে না অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নির্বাহী সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন, দুবছরের বেশি সময় প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম বন্ধ। ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। মার্চে বদলি কার্যক্রম শুরুর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। তবে এখনো এ বিষয়ে কিছুই হয়নি। দীর্ঘদিন বদলি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষক সংকটে আছেন।
তাছারা নিয়োগের আগে বদলি চালু না হলে শুন্য পদগুলোতে নতুন শিক্ষক নিয়োগ হবে। শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে যে সমস্যায় রয়েছেন তা আর সমাধান হবে না। উদাহরনস্বরুপ আমার বিদ্যালয়ে একটি শুন্য পদ আছে। আগে নিয়োগ হয়ে পদটি পূরণ হলে যারা সিনিয়র রয়েছেন তারা বদলি হতে পারবেন না। কারণ নিয়োগ বেশিরভাগ শুন্য পদ পূরণ হয়ে যাবে। আর যদি নিয়োগের পর বদলি চালু করা হয় তবে শিক্ষকদের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
এ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানান,শিক্ষক নিয়োগের পর আগামী জানুয়ারিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি চালু করার কথা রয়েছে। তবে এর আগেও এটি খুলে দেয়া হতে পারে। দীর্ঘদিন বদলি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরাও অবগত আছি।