নিজস্ব প্রতিবেদক | :
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে চলতি বছর থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর বদলে সব প্রশ্নই হবে যোগ্যতাভিত্তিক। প্রাথমিকে এই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নকেই বলা হয় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন বা সৃজনশীল প্রশ্ন।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক সমাপনী বৃত্তির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা থেকে এমসিকিউ উঠিয়ে দেয়া হবে। আইন ছাড়াই কৌশল নিয়ে যেন প্রশ্নফাঁস ঠেকানো যায় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর আইন তো আছেই।
মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসরোধ, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য সবার মতামত নিয়ে আগামী পরীক্ষায় এমসিকিউ বাদ দেয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। আগে যেখানে টিক চিহ্ন দিতে হতো এখন সেখানে দুই এক লাইন লিখতে হবে। তাতে লেখা ও পড়ায় মনোযোগী হবে শিক্ষার্থীরা।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সময় যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল বা সেগুলো নিয়ে জ্ঞানী-গুণীদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, আমরা বিভিন্ন আলোচনার মধ্যদিয়ে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ যেমন- রাষ্ট্রপতি, সর্বোচ্চ পদাধিকার; তিনিও সাজেশন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা চাই নকলমুক্ত পরিবেশে আমাদের ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিক। ছাত্ররা প্রশ্ন ফাঁসের এই জ্বালা নিয়ে না জ্বলুক আমরা চাই। শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের যে প্রাণান্তকর চেষ্টা, তার মধ্যে এ জাতীয় কর্মকাণ্ডগুলো বিষফোঁড়ার মতো। এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এ ভাবনাটি নিয়ে আমরা ভাবছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফ-উজ-জামান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব আকরাম-আল-হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এতে উপস্থিতি ছিলেন।
এদিকে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, খুব শিগগিেই নতুন নিয়মে প্রশ্নপত্রের কাঠামো চূড়ান্ত করে একাডেমির ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন করে আদেশ জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি। দেড় মাসের মধ্যে আবার এই নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।