অনলাইন ডেস্ক
সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে ১৩তম গ্রেড করা হয়েছে। এতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও অনেকটাই খুশি। কারণ তাদের দাবি ছিলো ১১তম গ্রেড।
তবে গ্রেড উন্নীতকরণের পর কে পাচ্ছেন ১৩তম গ্রেড কে পাচ্ছেন না, সেটা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেয়া দিয়েছে।
রাজীব আহমেদ নামে এক শিক্ষক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন গ্রেড উন্নীতকরণে কারা এর অধিভুক্ত।
বাংলাদেশ জার্নাল-এর পাঠকদের জন্য লিখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে বেতন উন্নীতকরণ করে ১৩তম গ্রেড নির্ধারণ করে। আসলে এতে বেতন বৈষম্য দূর হয়েছে কিনা তা আমার বোধগম্য নয়। সহকারী শিক্ষকদের দাবি ছিল একটাই তা হলো প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপে বেতন।
প্রধান শিক্ষকদের ১০ম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড। তারপরও কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে সেটাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সমস্যা হলো ৯ ফেব্রুয়ারির পরিপত্রটির ৫ নং কলামে শর্ত যুক্ত করে। আর এ নিয়ে আমাদের বিচক্ষণ কিছু শিক্ষক পূর্বের নিয়োগবিধীর আলোকে নিয়োগপ্রাপ্ত এসএসসি (হাতে গোনা), এইচএসসি (এদের অনেকেই বিভাগীয় অনুমতি না থাকার কারণে সার্টিফিকেট প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন না) এবং স্নাতক (তৃতীয় শ্রেণি) শিক্ষকগণকে ভিনগ্রহের প্রাণী ভাবছেন।
অনেকে অযৌক্তিকভাবে বলছেন, এসকল শিক্ষকগণ ১৩তম গ্রেড পাবেনা। যা সত্যিই অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ শর্তাবলীর (খ) উপধারায় বলা আছে ‘এ বিষয়ে বিদ্যমান সকল বিধিবিধান ও আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’।
শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ কী বলে তা একটু দেখে আসি। শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর ১০ এর (১) উপধারায় বলা আছে ‘এই বিধিমালা কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এতদ্বারা রহিত হইবে’।
এখন রহিতকরণের ব্যাখ্যায় ১০ এর (২) উপধারায় বলা আছে ‘উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত বিধিমালার অধীন যে সকল কার্যক্রম নিষ্পন্ন হইয়াছে তাহা এই বিধিমালার অধীন সম্পন্ন হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই বিধিমালা জারির তারিখে অনিষ্পন্ন কার্যাদি যতদূর সম্ভব এই বিধিমালার অধীন নিষ্পন্ন করিতে হইবে।
যদি এসকল নিয়মাবলী ঠিক থাকে তাহলে কিসের ভিত্তিতে বলছেন পূর্বের নিয়োগবিধীর আলোকে যথাযথ শর্ত মেনে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল শিক্ষক ১৩তম গ্রেড পাবেনা? তাই অতি বিচক্ষণ ঐ সকল শিক্ষকদের বিনয়ের সাথে বলি। সবাই মিলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি, সবাইকে যোগ্য শিক্ষক ভাবি। একাকী এগিয়ে যাবার চেষ্টা না করে সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাই, তা না হলে যানজট অনিবার্য।
একই টিমে যখন সবাই আছি তখন টিম ওয়ার্ক ভালোভাবে করি, সাফল্য পাওয়া যাবে। নইলে ব্যর্থতার গ্লানি পিছু ছাড়বে না।
পরিশেষে দৃঢ়ভাবে বলতে চাই এসএসসি, এইচএসসি অথবা স্নাতক (৩য় শ্রেণি) সকল সহকারী শিক্ষক ১৩তম পাবেন।