নিজস্ব প্রতিবেদক,২এপ্রিলঃ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকায় আগামী ৫ এপ্রিল থেকে টেলিভিশনে শুরু হবে প্রাথমিক স্তরের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান। সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে ওইদিন রেকর্ডিং ক্লাস সম্প্রচার করা হবে। পরবর্তী সময়ে বিটিভিতেও এসব ক্লাস সম্প্রচার করার চিন্তা সরকারের আছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল হোসেন জানিয়েছেন।
সচিব বলেন, প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির শিশুদের ডিজিটাল পাঠদানের জন্যও কনটেন্ট প্রস্তুত করছি। টিভিতে এই পাঠদান কার্যক্রম স্থায়ী করার চিন্তা করছি। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প কাজ করছে।
জানা গেছে, প্রাথমিকের শিশুদের জন্য পাঠদানের লেকচার রাজধানীতে দুটি স্টুডিওতে রেকর্ডিং করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই রেকর্ডিং কার্যক্রম শুরু হবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যানবেইস, বিয়ামসহ রাজধানীতে অনেক সরকারি স্টুডিও খালি পড়ে থাকলেও বেসরকারি স্টুডিওতে এই ক্লাস রেকর্ডিং করার উদ্যোগের সমালোচনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সচিব বলেন, আর কোনো স্টুডিও পাওয়া যায়নি বলে আমরা ওই স্টুডিও বাছাই করেছি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে টিভিতে শুরু হয়েছে মাধ্যদিমকের পাঠদান। গত ২৯ মার্চ সকাল থেকে সংসদ টিভিতে ‘আমার ঘরে আমার ক্লাস’ শিরোনামে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস সম্প্রচার শুরু হয়েছে। এসব ক্লাস শিক্ষকদেরও দেখা নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে নির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঠদান চলমান আছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা কে পাঠদান দেখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হল।
জানা গেছে, টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ির কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তা-ব শেষ হলে যখন স্কুল খোলা হবে তখন শিক্ষকদের সেই বাড়ির কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ির কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।