নিজস্ব প্রতিবেদক, ডিসেম্বর ১৬, ২০২০:
আগামী ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস “নগদ” কর্তৃক প্রস্তুতকৃত একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর “উপবৃত্তি Portal” উন্মুক্ত করা হবে। উপবৃত্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য উপবৃত্তির আওতাধীন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নিজস্ব User ID & Password প্রদান করাসহ উপবৃত্তির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে Digitalised করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নতুন পোর্টাল এর মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হলে ডাটা এন্ট্রির জন্য প্রাথমিকভাবে কিছুটা সময় ব্যয় হলেও এর দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়া যাবে।
নতুন পদ্ধতিতে উপবৃত্তি তালিকা প্রস্তুত হবে অনলাইনে ও তালিকার অনুমোদনও হবে অনলাইনে। অনুরূপভাবে চাহিদাপত্র সাবমিট হবে অনলাইনে চাহিদাপত্রের অনুমোদনও হবে অনলাইনে। নতুন Portal উন্মুক্ত হলে দ্রুত ডাটাএন্ট্রির কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করার জন্য কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো-
১. বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ কিংবা সনদ নম্বর সংগ্রহ করা।
২. সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণের (মাতা তাঁর অবর্তমানে পিতা কিংবা তাঁদের অবর্তমানে দাদী/ দাদা/ নানী/নানা /চাচা /মামা-ইত্যাদি) জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংগ্রহ করা।
৩. অভিভাবকদের নিজ NID দিয়ে নিবন্ধনকৃত মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করা (শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি সুবিধাভোগী হিসেবে নির্বাচিত হলে উক্ত মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার অভিভাবকের নামে নগদ একাউন্ট খোলা হবে)।
৪. বার্ষিক পরীক্ষায় সকল বিষয়ে ৪০% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৫. সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক কেবল সহকারী শিক্ষকগণের সহায়তা নিয়েই সভা করে রেজুলেশন গ্রহণ পূর্বক সুবিধাভোগী নির্বাচন করতে পারবেন।
৬. কোন ধরনের ছবি সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না।
৭. শিক্ষার্থীদের মৌলিক কিছু তথ্য (প্রাথমিক শিক্ষা চক্রে একবার) পোর্টালে এন্ট্রি করতে হবে, পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষাচক্রে ঐ শিক্ষার্থীর তথ্য আর কখনো পোর্টালে এন্ট্রি করতে হবেনা।
৮. হাতে লেখা উপবৃত্তি তালিকা প্রস্তুত করতে হবেনা।
৯. যেহেতু বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘নগদ’ একাউন্ট খোলা হবে সেহেতু একাউন্ট খোলার জন্য অভিভাবকগণের KYC form পূরণ করার প্রয়োজন হবে না।