নিজস্ব প্রতিবেদক,৩ ডিসেম্বর:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বিতরণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এবার থেকে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’ এর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
ডিপিই সূত্র জানায়, নগদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টাকা সরাসরি তাদের একাউন্টে চলে যাবে এবং তারা যখন ইচ্ছা তখন তুলে নিতে পারবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, প্রতিবছর প্রাথমিক পর্যায়ের এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পেয়ে থাকে। এতে সরকারের প্রায় চার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছিল। তাদের প্রস্তাবে ওপেন টেন্ডার ম্যাথড বা ওটিএম পদ্ধতিতে ‘নগদ’ কে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। তখন সরকারি প্রতিষ্ঠান বিবেচনায় ‘নগদ’ কে কাজটি দিতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, এর আগে গত তিন বছরে শিউরক্যাশের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করতে গিয়ে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে মন্ত্রণালয়ে। তারমধ্যে ক্যাশ আউটের জন্য পর্যাপ্ত এজেন্ট পয়েন্ট না থাকা বা এজেন্টরা শিক্ষার্থীদের থেকে বাড়তি টাকা রেখে দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা জনপ্রতি ৭৫ এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পাবে। এর আগে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিশুদের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পেত ১০০ টাকা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নগদের মাধ্যমে বকেয়া অর্থ দ্রুত পরিশোধ করা হবে।