এস কে দাস : নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আর মাত্র ২০ দিন বাকি থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের ছাপার কাজ অর্ধেকই বাকি রয়ে গেছে। তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের বইয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কিছু কাগজ সরবরাহকারীর দেরিতে কাগজ সরবরাহের কারণে ছাপার কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তথ্যানুসারে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১০ কোটি ৮৭ লাখ বইয়ের মধ্যে অর্ধেক বই ছাপার কাজ শেষ হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেগুলো বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ বইয়ের ৯৭ ভাগ কাজই শেষ এবং সেগুলো বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
তবে সরকার এবং ছাপাখানার ধারণা, গত পাঁচ বছরের মতো এবারও তারা সময় মতো শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারবে।
ছাপাকারী এবং এনসিটিবি প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ বই সময় মতো পৌঁছানোর জন্য ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পে সরকারের খরচ হচ্ছে ৭৩৩ কোটি টাকা।
এনসিটিবির বই বিতরণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মুস্তাক আহমেদ ভূইয়া বলেন, ‘সময় শেষ হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করি। মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯৭ ভাগ বই ইতিমধ্যে উপজেলাগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।’
২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বইয়ের কাজ শেষ করে আগামী বছরের ১ জানুয়ারী বই বিতরণের কাজ শুরুর কথা রয়েছে।
এনসিটিবির কর্মকর্তা রতন সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের কাছে সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, প্রাথমিকের প্রায় ৫০ শতাংশ বইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তবে সঠিক সময়ে আমরা বইয়ের কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করি।’
কাজের ধীরগতির প্রধান কারণ, ছাপার কাজ শুরু করতে প্রায় ১ মাস দেরি হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে সরকার। চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে দরপত্র আহবান করে সরকার। তবে কাজ পায় একটি দেশি কোম্পানি। তারা সর্বনি¤œ ২২১ কোটি টাকায় দরপত্র পায়।
সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার।