ঢাকা,৩ ফেব্রুয়ারী:
ইচ্ছেমতো শিক্ষার্থীর বয়স কমানোর সুযোগ রাখছে না সরকার। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সময় জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দিতে হবে। আর ওই জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী পাবলিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ভর্তির ক্ষেত্রে জন্ম-সনদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছিল। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে গত বছর ১০ ডিসেম্বর একটি সভায় নীতিবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীর বয়স কমানোর প্রবণতা দূর করতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণ, সংরক্ষণ ও পাবলিক পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশনের সময় এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নীতিবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীর বয়স কমানোর প্রবণতা রোধকল্পে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে গত ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অধিদফতরকে নির্দেশনা দিয়েছিল। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর শিক্ষার্থীদের জন্ম সনদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেয়।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) থেকে এ নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের জন্ম-সনদ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়।
প্রকল্প পরিচালক মো. ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছিল, জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল জানিয়েছেন, সারা দেশের ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধন কার্যক্রম আপগ্রেড করা হয়েছে। যেসব এলাকায় নিবন্ধন কার্যক্রমে সমস্যা হবে, সেখানকার উপজেলা শিক্ষা অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করবেন। উপজেলা পর্যায়ে সমাধান না হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডিডিএলজি-এর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
আর কক্সবাজার জেলার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম নেই। তবে ওই জেলার উপজেলাগুলোর জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলার যেসব স্থানে সমস্যা দেখা যাবে সেখানকার অভিভাবকদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার টাস্কফোর্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী মাধ্যমিকে ভর্তি এবং পাবলিক পরীক্ষার নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। ফলে ইচ্ছেমতো আর জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না।