ডেস্ক,৫ মার্চ:
সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৯৬ জনকে প্রধান শিক্ষক পদে গেজেটভুক্ত করে তা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হইকোর্ট।
জাতীয়করণের আগে তাদের করা ৫টি রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ শফিক মাহমুদ।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ২০১৩ সালে সারা দেশের ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ তালিকায় আনে। পর্যায়ক্রমে ওই বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করে। এক্ষেত্রে যে শিক্ষকরা যে পদে নিয়োগ পেয়েছেন (জাতীয়করণের আগের কমিটি কর্তৃক) তাদেরকে জাতীয়করণের পর স্ব স্ব পদে, অর্থাৎ প্রধান শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে এবং সহকারী শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু রিটকারীরা কমিটি কর্তৃক প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও তাদেরকে ২য় ধাপে স্কুল জাতীয়করণের পর ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর প্রধান শিক্ষকের পরিবর্তে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, যা আগের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক। তাই রিটকারীরা ওই সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষক পদের গেজেট প্রদানের জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের জারি করা রুলের শুনানি শেষে রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, এ রায়ের ফলে রিটকারী ২৯৬ জনের প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেট পেতে আইনি পথ সুগম হলো এবং তারা দেরিতে হলেও ন্যায়বিচার পেলেন।
রিটকারীদের মধ্যে আছেন- পটুয়াখালীর আব্দুর রহিম, মো. হারুন, মো. হানিফ, অরুনা, মো. আরিফ হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সবুজ মিয়া, মো. রফিকউল্লাহ, বগুড়া জেলার নারগিছ আক্তার, প্রভাস চন্দ্র সরকার, বিউটি আক্তার, আয়েশা আক্তার, মো. মোজাম্মেল, মনসুর আলী এবং কুড়িগ্রাম জেলার মো. আবু তাহের, মো. তাজুল ইসলাম, তানিয়া ইয়াসমিন, মো. ইউনুস আলী, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আবেদ আলি, মো. রওজা আলী, মোসা. জাহানারা বেগমসহ ২৯৬ জন।