গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার গোপালপুর করিমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মডেল টেস্ট পরীক্ষার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অর্থ আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে মডেল টেস্ট পরীক্ষার ফি বাবদ অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন।
জানা গেছে, গোপালপুর করিমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত শনিবার থেকে মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়। ৫০ নম্বরের এই পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ফি বাবদ ১৫০ টাকা করে নেওয়া হয়। ৫০ নম্বরের এই পরীক্ষায় এই ফি নেয়ায় অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিভাবক হায়দার হাওলাদার বলেন, উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দু’টি পরীক্ষা হয়। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশনা অমান্য করে আমাদের বিদ্যালয়ে মডেল টেস্ট নাম দিয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই পরীক্ষায় ৩৩৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক হাতিয়ে নিয়েছেন। আমাদের বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গরীব। এদের অনেকের এই টাকা দিতে কষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্ত রঞ্জন মন্ডলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের এই মডেল টেস্ট পরীক্ষা শুরু করেছি। আমি পরীক্ষার ফির কোন অর্থ আত্মসাৎ করিনি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাহবুব দিপু, মুকুল হাওলাদার, আবু সাইদ সিকদার বলেন, মডেল টেস্ট পরীক্ষার ব্যাপারে কমিটিতে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধান শিক্ষক তার একক সিদ্ধান্তে এই পরীক্ষা নিচ্ছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ধরনের মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সরকারি কোন বিধান নেই। এই মডেল টেস্ট পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক যদি কোন অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।