নিজস্ব প্রতিবেদক |
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের কার্যভার ভাতা চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৪ জনের কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিস পাওয়ার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর বিধান অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) শিক্ষকদের দায়িত্বভাতা বা কার্যভাতা দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ব্যর্থতায় হাইকোর্টে রীট পিটিশন দায়েরসহ অন্যান্য আইনি লড়াই শুরু হবে। শিক্ষকদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ওই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমকি ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কাছে দেয়া নোটিসে বলা হয়েছে, নোটিসপ্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর বিধান অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) শিক্ষকদের দায়িত্বভাতা বা কার্যভাতা দিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষা সুরক্ষা ফোরামের আহ্বায়ক মো: সিদ্দিকুর রহমান খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি সুব্রত রায়, বাগানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলামের পক্ষে দেয়া আইনি নোটিসে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা কার্যভার ভাতা পাচ্ছেন না।
এ বিষেয়ে সংশ্লিষ্ট থানা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে মৌখিক ও লিখিতভাবে যোগাযোগ করা হলেও চলতি দায়িত্ব বা অতিরিক্ত দায়িত্বভাতা প্রদান করা হচ্ছে না। চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও তারা তাদের অনুমোদিত ভাতা পাচ্ছেন না। এ বিষয় নিয়ে একাধিক থানা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে শিক্ষকরা ব্যর্থ হন। এতে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সুত্র: দৈনিক শিক্ষা