প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা শনিবার

অনলাইন ডেস্ক,২০ জুলাই ২০১৮: দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে অসামান্য অবদান রাখার জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ এখন সব ক্ষেত্রে সোনালী সময় পার করছে। ফলে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়নের প্রশংসায় বহিঃবিশ্ব। তিনি বয়ে এনেছেন বিরল সম্মান।

এছাড়া ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অষ্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করায় এই গণসংবর্ধণা দেওয়া হচ্ছে তাকে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। এই গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানকে সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে বিপুল লোকের সমাগম হবে বলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ধারণা করছেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের জেলার নেতা-কর্মীরা যোগদান করবেন।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে সংবর্ধনাস্থলকে সাজানো হয়েছে নান্দনিক সাজে। ইংরেজি বর্ণ এল আকৃতিতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে ৩০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।

পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আলোকসজ্জা করা হয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের পদভারে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক উৎসবমূখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিকেল ৩টা থেকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংবলিত ত্রিশ মিনিটের একটি পরিবেশনা থাকবে।

আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল জানান, বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনা শুরু হলেও দুপুর বারোটা থেকে লোকজন আসা শুরু করবে। দুপুর ১২টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। দেশের বরেণ্য শিল্পীরা এতে সংগীত পরিবেশন করবেন।

তিনি জানান, গণসংবর্ধনায় আসার জন্য ইতোমধ্যে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ গণসংবর্ধনায় যোগদান করবেন।

এ সভায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন ও অর্জনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ গণসংবর্ধনা আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।