প্রতি মাদ্রাসা পাবে ৭০ লাখ টাকা

শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক::  সরকার গত আট বছরে সারাদেশের প্রায় সাড়ে ১৩শ’ মাদ্রাসায় নতুন ভবন ও শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করেছে। গড়ে একটি মাদ্রাসার পেছনে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা। আরও দুই হাজার মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

অথচ বিগত আট বছরে কারিগরি স্তরের মাত্র এক ডজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। আর গত ১০ বছরে প্রায় ৩০ হাজার সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র সাড়ে আট হাজার প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কার করা রয়েছে। এতে গড়ে একটি সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, মাদ্রাসায় বিল্ডিং হচ্ছে, শ্রেণীকক্ষ হচ্ছে। কিন্তু সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার ধারায় আনার কোন প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সরকার মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে বিল্ডিং ও শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করছে, কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন হচ্ছে না।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রায়ই বলেন, ‘বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দেশের কোন মাদ্রাসায় একটি নতুন ভবনও নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু আমরা প্রায় দেড় হাজার মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণের পাশাপাশি কয়েক হাজার মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবন সংস্কার করেছি।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী সংবাদকে বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন কেবল শিক্ষানীতিতেই সীমাবদ্ধ। সরকার মাদ্রাসার উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। শত শত মাদ্রাসার উন্নয়ন হচ্ছে, ল্যাব স্থাপন হচ্ছে, কিন্তু সারাদেশের প্রায় চার হাজার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটিতেও কোন অবকাঠামো উন্নয়ন চোখে পরে না। কারিগরি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের নামে আমলারা বিদেশ ভ্রমণ করছে।’

শিক্ষানীতিতে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও সরকার এখন মাদ্রাসা শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন ও কারিকুলাম আধুনিকায়নের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও বারবার চাপ আসছে শিক্ষা প্রশাসনের ওপর। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পৃথক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দও নিয়মিত বাড়ছে। মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য সংসদ সদস্যও নিয়মিত ডিও লেটার দিচ্ছেন।

কিন্তু শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশ্ন নীতিমালা ছাড়াই চলে আসা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রশাসনের এতো উৎসাহ কেন? এ শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর কার্যত কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও কারা এই ধরনের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয়ের সুযোগ করে দিচ্ছেন? দেশের সাধারণ শিক্ষাকে অবহেলিত রেখে মাদ্রাসা শিক্ষার বিকাশে এতো তোড়জোড় কেন_ এসব বিষয় খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩ নম্বরটি ছিল মাদ্রাসা সংক্রান্ত। ওইসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের তাগাদার অংশ হিসেবে সর্বশেষ গত ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি তাগাদাপত্র পাঠানো হয়।

এর মাদ্রাসার অংশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ ঘটেছে। মাদ্রাসা আর টোল শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। এ লক্ষে যুগোপযোগী কারিকুলাম তৈরি করতে হবে।’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে সময়াবদ্ধ কর্ম-পরিকল্পনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, সরকার একদিকে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন। আরেকদিকে সারাদেশে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গড়ে উঠছে কওমি মাদ্রাসা। বর্তমানে দেশে প্রায় ২০ হাজার কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসার ওপর শিক্ষা প্রশাসন বারবার কর্তৃত্ব আরোপের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর শেখ ইকরামুল কবির সংবাদকে বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যেহেতু বাদ দেয়া যাচ্ছে না, এজন্য তাদের উন্নয়ন করে সাধারণ শিক্ষার ধারায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও বাংলা পড়ানো হচ্ছে।’

নায়েমের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, ‘সাধারণ মাদ্রাসার উন্নয়ন করা গেলেও কওমি মাদ্রাসার ওপর প্রশাসনের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কমিশন গঠন করা হলেও কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিরা এটা মানেননি। তারা শিক্ষার মূল ধারায় আসতেও নারাজ। তবে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হলে কওমি মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণে আসতে বাধ্য হতো।’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)। এ সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা সংবাদকে জানান, ‘মাদ্রাসার উন্নয়নে এই সরকারই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। গত আট বছরে সারাদেশে এক হাজার ৩৩২টি মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গড়ে প্রতিটি মাদ্রাসায় প্রায় ৭০ লাখ টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। নতুন আরও দুই হাজার মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’

মাদ্রাসার পেছনে এতো অর্থ ব্যয়ের ফলে সরকারের কী লাভ হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মূল ধারার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে। মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার হতে পারছে। পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করতে পারছে।’

২০০৯ সালে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হলেও, সাত বছরে মাদ্রাসা শিক্ষায় এর প্রভাব পরেনি। প্রায় ১৬ হাজার এমপিওভুক্ত ও আংশিক এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার কার্যক্রম তদারকি করারও যেন কেউ নেই। মাদ্রাসার সুপার ও শিক্ষক-কর্মচারীদের ঢালাওভাবে এমপিওভুক্তি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

অথচ সকল ধরনের মাদ্রাসাকে একটি সুষ্ঠু ধারার মধ্যে আনতে শিক্ষানীতিতে পরামর্শ থাকলেও দেশের প্রায় ২০ হাজার কওমি মাদ্রাসার কার্যক্রমের ওপর গত সাত বছরে নূ্যনতম নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব আরোপ করতে পারেনি শিক্ষা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক আবুল বাশার সংবাদকে বলেন, ‘মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণে কোন নীতিমালা নেই। সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে নীতিমালায় পরিচালনা করা হয় সেই আলোকেই মাদ্রাসা পরিচালনা হয়। এর জন্য পৃথক বা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই।’

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ডেপুটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞলব্ধ ওই কর্মকর্তা জানান, ‘সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় মাদ্রাসায় অনিয়ম, জনবল নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও পরিচালনা পরিষদে দ্বন্দ্ব কিছুটা বেশি। কারণ বেশিরভাগ মাদ্রাসাই বেসরকারি। সরকারি মাদ্রাসা রয়েছে মাত্র ২/৩টি।’

আবুল বাশার জানান, ‘দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল স্তরের মাদ্রাসায় সরাসরি এমপিও দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। কিন্তু এবতেদায় (প্রাথমিক স্তর) মাদ্রাসায় অনুদান (এমপিও) দেয় সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।’

মাদ্রাসা পরিচালনায় নেই নীতিমালা

মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোন নীতিমালা নেই। ১৯৬১ সালের ঢাকা জেলা প্রশাসকের আদেশের ওপর ভিত্তি করে দায়সারাভাবে চলছে মাদ্রাসা শিক্ষা। সরকারের অনুদানে (এমপিও) পরিচালিত হলেও প্রায় সব মাদ্রাসা চলছে সুপার, প্রিন্সিপালসহ গভর্নিং বডির ইচ্ছায়। গভর্নিং বডিতে সুপার ও প্রিন্সিপালরা হচ্ছেন সদস্য সচিব। গভনিং বডিতে এসে প্রভাবশালীরা সরকারের আদেশ নির্দেশ অমান্য করে ইচ্ছেমতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এতে প্র্রতিষ্ঠান পরিণত হচ্ছে নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্যের হাতিয়ার হিসেবে। অনেক ক্ষেত্রে সুপার ও প্রিন্সিপালরা নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে গভর্নিং বডি বা পরিচালনা পরিষদ গঠন করছেন। এমপিওভুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি এবং এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগ দরকার বলেও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

জানা গেছে, বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাদ্রাসার (সরকার স্বীকৃত) আছে ১৬ হাজার ২২৬টি। এর মধ্যে পূর্ণ এমপিওভুক্ত দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা আছে সাত হাজার ৬১০টি। এমপিওভুক্ত শিক্ষক আছেন এক লাখ ২০ হাজার। কর্মচারী আছে প্রায় ৪০ হাজার। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য প্রতি মাসে সরকারের ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুইশ’ কোটি টাকা। আর এবতেদায়ী মাদ্রাসা আংশিক এমপিওভুক্ত। এমপিওভুক্ত সকল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী আছে প্রায় অর্ধকোটি। এছাড়াও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছে।

একমাস পর পর এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শূন্যপদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা হয়। এতে প্রতি এমপিও-তে দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তি পায়। এর মধ্যে মাদ্রাসায় প্রতি মাসে ৭০০ থেকে ৮০০ জন এমপিওভুক্তি পায় অর্থাৎ তুলনামূলকভাবে বা সংখ্যার হিসেবে মাদ্রাসা শিক্ষকরাই বেশি আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। কারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ, প্রাপ্যতা, শূন্যপদ, মাদ্রাসায় আদৌ প্রয়োজনীয় ছাত্রছাত্রী আছে কী না সেসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয় না।

দেশে তিন ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এর মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসা সরাসরি সরকার নিয়ন্ত্রিত ও এমপিওভুক্ত বা আংশিক এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা। অপরটি হলো কওমি মাদ্রাসা, যা সরকার অনুমোদিত নয়। ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের নামে এক শ্রেণীর ব্যক্তি নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী যখন যেখানে খুশি কওমি মাদ্রাসা চালু করছে।

দাখিল বা মাধ্যমিক স্তরের মাদ্রাসার প্রধানকে বলা হয় সুপার। আলিম বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মাদ্রাসা প্রধানকে বলা হয় প্রিন্সিপাল।

গত এপ্রিলে তৈরি করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট সরকারি-বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা রয়েছে ৩১ হাজার ৪৪৮টি। এর মধ্যে ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রকল্পভুক্ত দশ হাজার ১২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হয়। এর মধ্যে সাত হাজার ৫৬৯টি প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুই হাজার ৪১৫টি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

মাদ্রাসার উন্নয়নের নামে অপচয়

মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণের নামে সরকারি অর্থের যথেচ্ছ ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, এই সরকারের আমলে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা এসইএসডিপি প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন জেলার (৩৪টি) মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়। প্রতিটি মাদ্রায় প্রায় দেড় কোটি টাকার কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে দেখতে পায়- সাতটি মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শাখাই নেই। অর্থার্ৎ এসব মাদ্রাসায় বিজ্ঞান পড়ানোর অনুমোদনই নেই। পরে প্রায় দশ কোটি টাকার শিক্ষা উপকরণ অব্যবহৃত পরে থাকে, এবং কিছু উপকরণ অন্য প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।