নিজস্ব প্রতিবেদক,২ মার্চ:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ ও ১৪/০৯/২০১৪ইং তারিখে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে ১০% প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ না দেওয়ার বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে ৪ সপ্তাহের রুল জারি করা হয়েছে এবং একই সাথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ০১ (এক) টি সহকারি শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সহ ০৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার (২রা মার্চ) একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানী শেষে বিচারপতি এফ. আর. এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে. এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ।
রীটকারীদের পক্ষে শুনানী করেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং তাকে সহযোগীতা করেন এ্যাডভোকেট মোঃ মনিরুল ইসলাম রাহুল ও এ্যাডভোকেট মোঃ সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম এবং রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডিপুটি এ্যার্টনী জেনারেল এ.বি.এম আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ বাশার।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন এই রিট পিটিশনটি আমি বিনা ফিতে দায়ের করেছি। তিনি আরো বলেন, বিগত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ইং সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। প্রতিবন্ধী মোঃ সুমন “প্রতিবন্ধী কোটায়” সহকারি শিক্ষক পদে আবেদন করে সফলতার সহিত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় কিন্তু তাকে উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। পরবর্তিতে আবেদনকারী তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং তারিখে মোঃ দেলোয়ার হোসেন উপপরিচালক (সংস্থাপন) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আরটিআই), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তথ্য প্রদান করিয়া চিঠি ইস্যু করে। উক্ত চিঠিতে দেখা যায় প্রতিবন্ধী মোঃ সুমন লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ নম্বর ও মৌখিক পরীক্ষায় ১১ নম্বর পেয়েছেন। ঢাকা জেলার ডেমরা উপজেলায় ১৭ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হলে ১০% কোটায় প্রতিবন্ধী সুমনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। যাহা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার লঙ্ঘন। যাহার প্ররিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ বিনা ফিতে মানবিক দিক বিবেচনায় মহামান্য হাইকোর্টের উক্ত রিট পিটিশনটি দায়ের করেছি আবেদনকারী মোঃ সুমন ঢাকা জেলার ডেমরা থানার বাসিন্দা।